গুলশান

ঢাকার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত গুলশান বাংলাদেশের অন্যতম আভিজাত্যপূর্ণ আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকা। এই এলাকাটির ঐতিহাসিক উৎপত্তি একটি গ্রামীণ অঞ্চল হিসেবে, কিন্তু পরিকল্পিত শহরায়নের মাধ্যমে এটি বর্তমান রূপ প্রাপ্ত হয়েছে। গুলশান একসময় ঢাকার প্রান্তিক অঞ্চল হলেও, সময়ের সাথে সাথে এটি শহরের প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে উঠে এসেছে।

গুলশান ১ ও ২ নম্বর সার্কেলের মাধ্যমে এলাকাটি দুই ভাগে বিভক্ত। গুলশান ২ বিদেশী দূতাবাস সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ কার্যালয়ের আবাসস্থল। গুলশান এভিনিউ এই এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার মূল অক্ষরেখা। এই সড়ক উত্তরের দূতাবাস এলাকা থেকে দক্ষিণের হাতিরঝিল পর্যন্ত বিস্তৃত। গুলশানের প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম হচ্ছে গুলশান এভিনিউ, যা মহাখালী, বাড্ডা, নিকেতন, হাতিরঝিল, বারিধারা, বনানী সহ অন্যান্য এলাকার সাথে যোগাযোগ রাখে।

গুলশান লেক এই এলাকার একটি উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান। এছাড়াও এখানে অসংখ্য পাঁচতারকা হোটেল, উচ্চমানের রেস্তোরাঁ, শপিং মল, বিলাসবহুল আবাসিক ভবন, আন্তর্জাতিক স্কুল, ব্যাংক এবং বহুজাতিক কোম্পানির কার্যালয় অবস্থিত। এই সকল কারণে গুলশান ঢাকার অন্যতম ধনী ও প্রভাবশালী এলাকা হিসেবে পরিচিত।

গুলশান থানার আয়তন ৮.৮৫ বর্গ কিলোমিটার। ২০০১ সালের জনগণনা অনুযায়ী এখানকার জনসংখ্যা ছিল ১৪৫৯৬৯। গুলশান থানা ১৯৭২ সালে গঠিত হয়। এখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র অবস্থিত। আমেরিকান দূতাবাস, চীন দূতাবাস সহ অন্যান্য বিদেশী দূতাবাসও এখানে অবস্থিত। গুলশান ক্লাব এই এলাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। গুলশানের অর্থনৈতিক ক্রিয়া-কলাপ প্রধানত বাণিজ্য, সেবা ও আবাসিক সেক্টরে কেন্দ্রীভূত।

মূল তথ্যাবলী:

  • গুলশান ঢাকার একটি আভিজাত্যপূর্ণ এলাকা
  • গুলশান ১ ও ২ নম্বর সার্কেল দুটি প্রধান অংশ
  • গুলশান এভিনিউ প্রধান যোগাযোগ সড়ক
  • অনেক বিদেশি দূতাবাস গুলশানে অবস্থিত
  • গুলশান লেক একটি উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান