কুষ্টিয়া আদালত: ইতিহাস, বর্তমান অবস্থা এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
কুষ্টিয়া জেলার বিচার বিভাগের কেন্দ্রবিন্দু হল কুষ্টিয়া আদালত। এটি একক আদালত নয়, বরং বিভিন্ন আদালত ও বিচার বিভাগীয় প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে গঠিত একটি ব্যবস্থা। এই লেখায় আমরা কুষ্টিয়া আদালতের ইতিহাস, বর্তমান অবস্থা এবং এর গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো তুলে ধরব।
ইতিহাস:
কুষ্টিয়া আদালতের ইতিহাস ব্রিটিশ শাসনামলে ফিরে যায়। ১৮৬০ সালে নীল বিদ্রোহের পর, বিচারের জন্য ভালুকা (কুমারখালী) এ একটি মুনসেফী আদালত প্রতিষ্ঠা করা হয়। ঈষান চন্দ্র দত্ত ছিলেন প্রথম মুনসেফ। ১৮৬৩ সালে কুষ্টিয়া থানা ও কুমারখালী থানা পাবনা জেলার অন্তর্ভুক্ত হলে ভালুকা মুনসেফী আদালত বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ১৮৬৩ সালে কুষ্টিয়া মহকুমার মর্যাদা পেলে কুষ্টিয়ায় একটি মুনসেফী আদালত প্রতিষ্ঠিত হয়। কুষ্টিয়া প্রথমে রাজশাহী, পরে পাবনা জেলা জজশীপের অধীনে ছিল। পৃথক জেলা জজ নিয়োগের আগে, পাবনা জেলা জজ মাসে ১৫ দিন কুষ্টিয়া বসে বিচার কাজ পরিচালনা করতেন। ১৯৬৮ সালের ১৭ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার জন্য পৃথক জেলা জজ কোর্ট নির্মাণ করা হয়।
বর্তমান অবস্থা:
বর্তমানে কুষ্টিয়ায় জেলা ও দায়রা জজ আদালত, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালত, সিনিয়র সহকারী জজ আদালত (দৌলতপুর) এবং চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতসহ অন্যান্য আদালত রয়েছে। এছাড়াও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল কাজ করে। আদালতগুলোর অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ চলছে এবং ই-ফাইলিং, ই-সার্টিফাইড কপি সহ বিভিন্ন ডিজিটাল সেবা চালু আছে।
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা:
- ২০২৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া আদালত চত্বরে ‘ন্যায়কুঞ্জ’ বিশ্রামাগারের উদ্বোধন।
- কুষ্টিয়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার মামলায় কারাদণ্ড।
- দৌলতপুরে আলোচিত কৃষক হত্যা মামলায় জাসদ নেতা কারশেদ আলমসহ তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
স্থান:
- কুষ্টিয়া জেলা।
- ভালুকা (কুমারখালী)।
- দৌলতপুর।
- কুষ্টিয়া আদালত চত্বর।
ব্যক্তি:
- ঈষান চন্দ্র দত্ত
- জালাল উদ্দিন চৌধুরী
- রুহুল আমীন
- মো: কেরামত আলী
- হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী
- সেলিম আলতাফ জর্জ
- কারশেদ আলম
সংগঠন:
- কুষ্টিয়া জেলা জাসদ
- যুবলীগ
ট্যাগ:
- কুষ্টিয়া আদালত
- বিচার বিভাগ
- ন্যায়বিচার
- আইন
- জেলা জজ
- ম্যাজিস্ট্রেট
- কুষ্টিয়া জেলা