নড়াইলের কুদ্দুস ফকির: রুকু শেখ হত্যা মামলার যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী
২০২৫ সালের ২ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার, নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালত কুদ্দুস ফকির (৫৪) নামে এক ব্যক্তিকে রুকু শেখ হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে। আদালত তাকে ১০,০০০ টাকা জরিমানাও করেছে, এবং জরিমানা অনাদায়ের ক্ষেত্রে আরও ৩ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। বিচারক মো. শাজাহান আলী এই রায় ঘোষণা করেন।
কুদ্দুস ফকির কালিয়া উপজেলার নড়াগাতি থানার চোরখালি দক্ষিণপাড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং মৃত প্রাণ ফকিরের ছেলে। মামলার এজাহার অনুসারে, কুদ্দুস ফকিরের চোরখালি উত্তরপাড়া গ্রামের চায়না বেগমের সাথে প্রায় ৩০ বছর আগে বিবাহ হয়। বিবাহোত্তর জীবনে পারিবারিক কলহ ও চায়না বেগমের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে কুদ্দুস ফকিরের বিরুদ্ধে। প্রায় তিন বছর আগে চায়না বেগম স্বামীর বাড়ি ছেড়ে চলে যান। ২০২১ সালের ৩ ডিসেম্বর, রুকু শেখ (চায়না বেগমের ভাই) নবগঙ্গা নদীর ঘাটে যাওয়ার পথে কুদ্দুস ফকিরের সাথে কথাকাটাকাটি হয়। কুদ্দুস ফকির চায়নাকে ফিরিয়ে আনার জন্য রুকু শেখের উপর লোহার শাবল দিয়ে আঘাত করে, ফলে রুকু শেখ গুরুতর আহত হন। পরবর্তীতে খুলনা ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫ ডিসেম্বর রুকু শেখের মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর রুকু শেখের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে নড়াগাতি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এপিপি অ্যাডভোকেট আজিজুল ইসলাম ঢাকা মেইলকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মামলায় সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণের পর বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করা হয়।