কুষ্টিয়ার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাশ্যপী বিকাশ চন্দ্র: কুমির উদ্ধার ও বন সংরক্ষণের প্রয়াস
কুষ্টিয়ার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাশ্যপী বিকাশ চন্দ্র সম্প্রতি বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনার সাথে জড়িত হয়েছেন। পদ্মা ও গড়াই নদীতে কুমিরের উপস্থিতির খবর পাওয়ার পর তিনি কুমির উদ্ধার ও সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এছাড়াও, কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সামাজিক বনায়নের আওতায় গাছ কাটার বিতর্কের মধ্যেও তিনি জড়িত ছিলেন।
পদ্মা নদীর কুমির উদ্ধার: ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ মঙ্গলবার কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার তালবাড়ীয়া ইউনিয়ন এলাকায় এক জেলের জালে বিশাল আকৃতির (১০/১১ ফুট দৈর্ঘ্য) একটি কুমির আটকা পড়লে, স্থানীয়রা কাশ্যপী বিকাশ চন্দ্রকে খবর দেয়। তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কুমিরটিকে উদ্ধার করে পদ্মা নদীর গভীর জলে ছেড়ে দিয়েছেন। এই ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছিল, যার প্রতিকারের জন্য সরকারিভাবে সচেতনতা প্রচারণার দাবি জানানো হয়।
গড়াই নদীর কুমির: এর আগে চলতি মাসের প্রথম দিকে কুষ্টিয়ার গড়াই নদীতে একাধিক কুমিরের দেখা মেলে, যার ফলে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। নদীর বিশাল জলরাশি শুকিয়ে যাওয়ায় এমন ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হয়।
কুমারখালীর গাছ কাটা বিতর্ক: কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সামাজিক বনায়নের আওতায় ১০ বছর আগে রোপণ করা তিন হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। স্থানীয়রা গাছ কাটার বিরোধিতা করলে, কাশ্যপী বিকাশ চন্দ্র ব্যাখ্যা দেন যে, এটি নিয়মিত বনায়ন প্রক্রিয়ার অংশ এবং গাছ কাটার পর নতুন চারা রোপণ করা হবে। তবে, প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে তিনি গাছ কাটা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেন।
কাশ্যপী বিকাশ চন্দ্রের ভূমিকা: উপরোক্ত ঘটনায় দেখা যায় যে, কাশ্যপী বিকাশ চন্দ্র বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও বন সংরক্ষণে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। তবে, সামাজিক বনায়নের গাছ কাটার বিতর্কে তার সিদ্ধান্ত নিয়ে জনমত বিভক্ত।
উল্লেখ্য: উপরোক্ত তথ্য বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম থেকে সংগৃহীত।