কামাল হোসেন খান

আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২:০১ এএম

ডঃ কামাল হোসেন: বাংলাদেশের সংবিধান ও রাজনীতির এক প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব

ডঃ কামাল হোসেন (জন্ম: ২০ এপ্রিল ১৯৩৭, বরিশালের শায়েস্তাবাদ) বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট আইনজীবী, রাজনীতিবিদ এবং মুক্তিযোদ্ধা। তিনি বাংলাদেশের সংবিধান প্রণেতাদের মধ্যে অন্যতম এবং ১৯৭২ সালে সংবিধান রচনা কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। তার পিতা সৈয়দ আহাম্মদ হোসেন ছিলেন কলকাতার একজন চিকিৎসক এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দীর আত্মীয়। ১৯৫৭ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জুরিসপ্রুডেন্সে স্নাতক (সম্মান) এবং ১৯৫৮ সালে ব্যাচেলর অব সিভিল ল ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬৪ সালে আন্তর্জাতিক আইন বিষয়ে পিএইচডি করেন। তিনি ১৯৭০ সালের পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তান থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন এবং ১৯৭২ সালে আইনমন্ত্রী এবং ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ঢাকা-১৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি গণফোরাম নামের রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। ২০০৮ সালে তিনি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্ব দেন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে তিনি পরাজিত হন এবং পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ থেকে বিভিন্ন মতবিরোধের কারণে তার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়। তিনি ১৯৯৩ সালে গণফোরাম গঠন করেন এবং ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর রাজনীতি থেকে অবসর গ্রহণ করেন।

কামাল হোসেন: এক নজরে

  • জন্ম: ২০ এপ্রিল ১৯৩৭, বরিশালের শায়েস্তাবাদ
  • শিক্ষা: অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় (জুরিসপ্রুডেন্স, ব্যাচেলর অব সিভিল ল, পিএইচডি- আন্তর্জাতিক আইন)
  • পেশা: আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, মুক্তিযোদ্ধা
  • রাজনৈতিক দল: গণফোরাম (প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি)
  • গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা: বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সভাপতি (১৯৭২), আইনমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী
  • অন্যান্য: জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্ব

মূল তথ্যাবলী:

  • ডঃ কামাল হোসেন বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন।
  • তিনি একজন বিশিষ্ট আইনজীবী, রাজনীতিবিদ এবং মুক্তিযোদ্ধা।
  • তিনি গণফোরাম নামক রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠাতা।
  • তিনি ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে এবং ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হন।
  • তিনি ২০২৩ সালে রাজনীতি থেকে অবসর নেন।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।