কর্মসংস্থান: একটি বিস্তারিত আলোচনা
কর্মসংস্থান শব্দটি সাধারণত বোঝায় পরিশ্রম বা কাজের বিনিময়ে অর্থের একটি চুক্তি। এই চুক্তি দুই পক্ষের মধ্যে হয়: নিয়োগকর্তা (ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অলাভজনক সংস্থা ইত্যাদি) এবং কর্মচারী। কর্মচারীরা তাদের পরিশ্রমের বিনিময়ে বেতন, বোনাস, স্টক অপশন, এবং অন্যান্য সুবিধা (স্বাস্থ্য বীমা, অবসর সুবিধা ইত্যাদি) পেয়ে থাকে। কর্মসংস্থান আইন ও চুক্তি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
একজন কর্মচারী তার দক্ষতা ও শ্রম দিয়ে নিয়োগকর্তার উদ্যোগে অবদান রাখে এবং নির্দিষ্ট দায়িত্ব পালন করে। কর্পোরেট ক্ষেত্রে, কর্মচারীকে নিয়মিত ভিত্তিতে বেতনের বিনিময়ে কোম্পানির কাজে নিয়োগ দেওয়া হয়। উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও লাভজনক কর্মসংস্থানের সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য নিয়োগকর্তাদের মজুরি, শ্রমিক উৎপাদনশীলতার মধ্যে ভারসাম্য রাখতে হয়।
চাকরি খোঁজার প্রধান মাধ্যম হলো পত্রিকার বিজ্ঞাপন, অনলাইন জব বোর্ড এবং নিয়োগ পরামর্শদাতা। প্রার্থীদের যাচাই, দক্ষতা মূল্যায়ন এবং সাক্ষাৎকার প্রক্রিয়া কর্মসংস্থানের অংশ। প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন নতুন কর্মচারীদের দক্ষতা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কর্মচারীদের পারিশ্রমিক বিভিন্ন উপায়ে দেয়া হয় যেমন, ঘণ্টা ভিত্তিক, উৎপাদন ভিত্তিক, বার্ষিক বেতন, কমিশন, বা বোনাস। শেয়ার অপশনও কিছু ক্ষেত্রে দেওয়া হয়। কর্মচারীদের সুবিধাগুলির মধ্যে রয়েছে বাসস্থান, গ্রুপ ইন্সুরেন্স, অবসর সুবিধা, ছুটি ইত্যাদি।
সাংগঠনিক ন্যায়বিচার কর্মীদের উপলব্ধি এবং নিয়োগকর্তার ব্যবহারের সাথে সম্পর্কিত। কর্মচারীরা বাণিজ্য বা শ্রমিক ইউনিয়নে যোগ দিতে পারে তাদের অধিকার রক্ষার জন্য। সাধারণত কর্মসংস্থান চুক্তি ইচ্ছামাফিক শেষ করা যায়, কিন্তু কিছু পেশায় মেয়াদ নির্দিষ্ট থাকে। ছাটাই বা লে-অফও কর্মসংস্থানের সমাপ্তির একটি রূপ।
মজুর হলো একজন শ্রমিক ও নিয়োগকর্তার মধ্যে আর্থ-সামাজিক সম্পর্ক। এই লেনদেন সাধারণত শ্রম বাজারে ঘটে, যেখানে মজুরি বাজার দ্বারা নির্ধারিত হয়। মজুরকে বিভিন্নভাবে সমালোচনা করা হয়, বিশেষ করে “মজুরির দাসত্ব” হিসেবে।
বিভিন্ন দেশের কর্মসংস্থান আইন ও নিয়মাবলী ভিন্ন। অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, কানাডা, পাকিস্তান, ভারত, ফিলিপাইন, যুক্তরাজ্য, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মসংস্থান আইন সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য তথ্য প্রদান করা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইউনিয়ন, স্বাধীন ঠিকাদার, এবং তরুণ কর্মীদের কর্মসংস্থান সংক্রান্ত তথ্যও আলোচনা করা হয়েছে। সুইডেনের কর্মসংস্থানের বিভিন্ন ধরন এবং তাদের আইনি দিকগুলোও বর্ণিত হয়েছে। বয়স্ক কর্মীদের কর্মসংস্থান এবং দারিদ্র্য নিরসনে কর্মসংস্থানের ভূমিকার উপরও আলোচনা করা হয়েছে। বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে কর্মসংস্থান সম্পর্কের বিশ্লেষণ এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সম্পর্ক উল্লেখযোগ্য। বিশ্বায়নের প্রভাব ও কর্মসংস্থানের বিকল্প (শিক্ষা, আত্ম-কর্মসংস্থান ইত্যাদি) সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে গণতন্ত্র ও শ্রমিকদের অধিকারের বিষয়টিও উঠে এসেছে।