ওস্তাদ মিহির লালা সাহা

আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮:৫৪ পিএম

ওস্তাদ মিহির লালা সাহা: একজন কিংবদন্তী শিল্পীর জীবন ও কর্মের কাহিনী

১৯৪১ সালে কক্সবাজারে জন্মগ্রহণকারী ওস্তাদ মিহির লালা সাহা বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট শাস্ত্রীয় সংগীত শিল্পী এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের কণ্ঠসৈনিক ছিলেন। চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর কানুনগোপাড়ার পোপাদিয়া গ্রামে বেড়ে ওঠা এই শিল্পী আইনজীবী চন্দ্র বিনোদ লালা এবং কুলদাবালা লালার তৃতীয় সন্তান ছিলেন। আট ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়। তার বড় ভাই রবীন্দ্রনাথ লালা অল ইন্ডিয়া মিউজিক কলেজ থেকে ‘প্রফেসর অব ক্ল্যাসিক্যাল মিউজিক’ ডিগ্রি লাভ করেন এবং ২৫ বছর ওস্তাদ ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায়ের শিষ্য ছিলেন।

মিহির লালার শৈশব থেকেই গানের প্রতি ছিল অগাধ ভালোবাসা। ওস্তাদ আবু বক্কর সিদ্দিকীর কাছে তিনি সংগীতে হাতেখড়ি করেন এবং পরবর্তীতে উপমহাদেশের অনেক কিংবদন্তী সংগীতশিল্পীর কাছে তালিম লাভ করেন। পণ্ডিত বারীন মজুমদারের সান্নিধ্যে এসে তিনি শাস্ত্রীয় সংগীত জগতে উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে আবির্ভূত হন। অল ইন্ডিয়া মিউজিক কলেজ থেকে ‘প্রফেসর অব ক্ল্যাসিক্যাল মিউজিক’ ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। তিনি ‘আর্য্য সংগীত সমিতি’ এবং ‘সুরেন্দ্র সংগীত বিদ্যাপীঠ’ -এর অধ্যক্ষ হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠসৈনিক হিসেবে অবদান রাখেন মিহির লালা। ২০১৮ সালে জাতীয় শিল্পকলা একাডেমি পদক লাভ করেন তিনি। তার স্ত্রী জয়ন্তী লালা একজন নজরুল সংগীতশিল্পী। তাদের এক ছেলে সুমন লালা (কম্পিউটার প্রকৌশলী) এবং এক মেয়ে চন্দ্রিমা লালা (রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সঙ্গীতশাস্ত্রে ডিগ্রিধারী) রয়েছে। ২০২৪ সালের ১৭ আগস্ট ৮৪ বছর বয়সে তিনি মারা যান।

মূল তথ্যাবলী:

  • ওস্তাদ মিহির লালা সাহা ছিলেন একজন বিশিষ্ট শাস্ত্রীয় সংগীত শিল্পী।
  • তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের কণ্ঠসৈনিক ছিলেন।
  • তিনি ‘আর্য্য সংগীত সমিতি’ এবং ‘সুরেন্দ্র সংগীত বিদ্যাপীঠ’ -এর অধ্যক্ষ ছিলেন।
  • তাকে ২০১৮ সালে জাতীয় শিল্পকলা একাডেমি পদক প্রদান করা হয়।
  • তিনি ২০২৪ সালের ১৭ আগস্ট মারা যান।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - ওস্তাদ মিহির লালা সাহা

১৭ আগস্ট ২০২৪

ওস্তাদ মিহির লালা সাহা ৮৪ বছর বয়সে মারা যান।