যশোরের চৌগাছা থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পায়েল হোসেনের নামে গত ডিসেম্বর মাসে ব্যাপক অভিযোগ উঠেছিল। মাত্র দেড় মাসের মধ্যে তার বিরুদ্ধে টর্চার সেল পরিচালনা, রিমান্ড বাণিজ্য, ঘুষ, চাঁদাবাজি, নারী নির্যাতন, নিরীহ মানুষকে হয়রানি ও নারী কেলেঙ্কারী সহ নানা অভিযোগে তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে পুলিশ লাইনসে ক্লোজড করা হয়। শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার একটি বিতর্কিত ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে পুলিশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) রুহুল আমিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ওসি পায়েল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে চৌগাছা বাস মালিক সমিতির সভাপতি জসিম উদ্দিনের কাছ থেকে এক কোটি টাকা দাবি, ভাদড়া গ্রামের ব্যবসায়ী মানিক হোসেনকে নির্যাতন ও তার স্ত্রীর কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা আদায়, মাশিলা গ্রামের পারভেজ আহমেদ সোহাগ নামে এক যুবককে টর্চার সেলে আটকে রেখে নির্যাতন এবং তার মায়ের কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা আদায়, সিংহঝুলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হামিদ মল্লিকের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি, চৌগাছা বাজারের ব্যবসায়ী জীবন হোসেন লিপু ও তার বন্ধু বাবুলের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা আদায় এবং ভিডিওতে নারীর সাথে অশালীন আচরণ উল্লেখযোগ্য।
ওসি পায়েল হোসেন নিজেকে ষড়যন্ত্রের শিকার বলে দাবি করেছেন। তবে পুলিশ সুপার জিয়াউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওসির বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।