ওমর ইমরুল মহসিন: একজন বিতর্কিত কিন্তু ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব
২০১৬ সালের মে মাসে ‘সম্মানী না পেয়ে দুই সরকারি কর্মকর্তার আক্রোশ’ শিরোনামে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের পর থেকেই ওমর ইমরুল মহসিন নামটি বেশ আলোচিত। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের মূল্যায়ন কমিটির সদস্য হিসেবে ১০ লাখ টাকা সম্মানী দাবির ঘটনায় তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা বিভাগের উপ-প্রধান হিসেবে কাজ থেকে বিরত ছিলেন। তদন্ত কমিটি গঠিত হলেও রিপোর্টের বর্তমান অবস্থা অজানা।
বিসিএস ১৭তম ব্যাচের এই কর্মকর্তা বর্তমানে কৃষি বিপণন অধিদফতরের পরিচালক হিসেবে কর্মরত। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে সেতু বিভাগ থেকে বদলি হয়ে এখানে যোগদান করেন। এর আগে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগে যুগ্ম সচিব ছিলেন। ২০২২ সালের এপ্রিলে তিনি অতিরিক্ত সচিব (গ্রেড ২) পদে পদোন্নতি পান। পরবর্তীতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্পে পদায়নের আদেশ হলেও তা বাতিল হয়। এছাড়া, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে বদলির আদেশও বাতিল হয়। অধিদফতরের কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন যে, তিনি অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পাওয়ার পরও চতুর্থ গ্রেডের পরিচালকের পদ ধরে রেখেছেন।
ওমর ইমরুল মহসিনের স্ত্রী শিততুল মুনা (মুনা চৌধুরী) আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপ কমিটির সদস্য এবং সংরক্ষিত আসনে এমপি হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বলে জানা যায়। তিনি ছাত্রলীগের নেতাও ছিলেন। এই স্বামী-স্ত্রীর রাজনৈতিক প্রভাব বিপণন অধিদফতরে তার ক্ষমতার প্রতিফলন ঘটায়। ২০২২ ও ২০২৩ সালে বিপণন অধিদফতরের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, যাতে তার জড়িত থাকার কথা বলা হচ্ছে। এই নিয়ে গণমাধ্যমেও বেশ কিছু প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাসুদ করিম এই অনিয়মের বিষয়টি স্বীকার করেছেন এবং ওমর ইমরুল মহসিনের পদায়নের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।