অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া: একজন বিশিষ্ট কৃষিবিদ ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬তম উপাচার্য
গাজীপুর জেলার সদর উপজেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণকারী অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বাংলাদেশের একজন অত্যন্ত সম্মানিত কৃষিবিদ। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পশু প্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত কর্মরত ছিলেন এবং ২০২৪ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়টির ২৬তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন।
তার শিক্ষাজীবন:
- ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পশুপালন অনুষদে বিএসসি (সম্মান) ডিগ্রি লাভ করেন।
- ১৯৮৩ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পশু প্রজনন বিভাগে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন।
- ১৯৮৯ সালে যুক্তরাজ্যের লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পশু প্রজনন বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
- একাধিক পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা সম্পন্ন করেছেন। জার্মানী, যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়েও তিনি কাজ করেছেন।
কর্মজীবন:
- ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশু প্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান।
- ১৯৮৬ সালে সহকারী অধ্যাপক, ১৯৯২ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ১৯৯৭ সালে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন।
- পশু পালন অনুষদের ডিন, পশু প্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সদস্য, ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এর জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির জ্যেষ্ঠতম সদস্যসহ বিভিন্ন অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেছেন।
গবেষণা ও প্রকাশনা:
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে তার প্রায় ৩০০টি গবেষণামূলক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া তিনি ৭টি বইও রচনা করেছেন।
সম্মাননা ও পুরষ্কার:
তিনি বিভিন্ন সম্মাননা ও পুরস্কার অর্জন করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে কমনওয়েলথ স্কলারশিপ, আলেকজান্ডার ভন হামবোল্ট ফেলোশিপ, কোচরান ফেলোশিপ, এবং আরও অন্যান্য।
অন্যান্য তথ্য:
তার পিতার নাম আবদুল গাফ্ফার ভূঁইয়া এবং মাতার নাম ছোলেমা খাতুন। তিনি বিবাহিত এবং এক কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক। তিনি বহু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওয়ার্কশপ এবং কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি বাংলাদেশে রেড চিটাগাং ক্যাটল জাতের উদ্ভাবক এবং বাংলাদেশ রেড চিটাগাং ক্যাটল ব্রিডিং এসোসিয়েশনের সভাপতি।
তিনি বহু পিএইচডি ও এমএসসি শিক্ষার্থীর গবেষণার তত্ত্বাবধান করেছেন। তিনি বিভিন্ন দেশী-বিদেশী গবেষণা প্রকল্পের প্রধান গবেষক হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির তিন বার নির্বাচিত সদস্য ছিলেন। তিনি বাকৃবি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সেবা মানোন্নয়ন এবং সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার কক্ষ পরিদর্শন করেছেন।