এম ইকবাল হোসেন নামটি একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। উপলব্ধ তথ্যের ভিত্তিতে, আমরা এখানে দুজন বিশিষ্ট ব্যক্তির তথ্য তুলে ধরবো যাদের নাম এম ইকবাল হোসেন। আরও তথ্য পাওয়া গেলে, আমরা আপনাদেরকে অবহিত করবো।
প্রথম এম ইকবাল হোসেন:
এই ব্যক্তি বাংলাদেশের পাবনা জেলার একজন রাজনীতিবিদ, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এবং পাবনা-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৪৮ সালে পাবনায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মোঃ ইসহাক এবং মাতা মোচ্ছাঃ হামিদা বেগম। ১৯৬৫ সালে পাবনা জিলা স্কুল থেকে এসএসসি এবং ১৯৬৭ সালে নেত্রকোণা কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। পরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৬৯ সালের গণআন্দোলনের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ৩১ অক্টোবর ১৯৭২ সালে জাসদ গঠিত হলে তিনি এর সাথে যুক্ত হন এবং পাবনার জাসদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে পাবনা-৫ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৭৩ ও ১৯৭৯ সালেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ১৯৯১ সালে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে এবং ১৯৯৬ সালে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। ১৯৯৮ সালে তিনি জাতীয় পার্টির পাবনা জেলার আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ১৮ জানুয়ারী ২০০৫ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে মারা যান।
দ্বিতীয় এম ইকবাল হোসেন:
এই ব্যক্তি বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জ জেলার একজন মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং মুজিব বাহিনীর লৌহজং শাখার কমান্ডার ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৮ সালে মুন্সীগঞ্জ-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ৬ ডিসেম্বর ২০১৯ সালে ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে মারা যান।
তৃতীয় এম ইকবাল হোসেন:
এই ব্যক্তি ময়মনসিংহের গফরগাঁও পৌরসভার মেয়র ছিলেন। প্রায় ছয় মাস ধরে অফিস করেননি এবং এলাকায়ও ছিলেন না। পৌরসভার কাজে অচলাবস্থা তৈরি হয়। দুর্নীতির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়।