এনজিও: জনকল্যাণে অগ্রণী ভূমিকা
বেসরকারি সংস্থা বা এনজিও (NGO) বিশ্বের প্রায় সর্বত্রই জনকল্যাণমূলক কাজে নিয়োজিত। এরা সরকারের সরাসরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে অলাভজনক ও স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে। মানবতা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, মানবাধিকার - বিভিন্ন ক্ষেত্রে এনজিও'র অবদান অপরিসীম। অনেক এনজিও সরকারি অনুদানের উপর নির্ভরশীল হলেও অনেকেই দাতব্য প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিদের দানের উপর নির্ভর করে কাজ করে।
এনজিও'র উত্থানের ইতিহাস বেশ দীর্ঘ। আধুনিক ধারায় এনজিও'র আবির্ভাব ১৯শ শতকের মাঝামাঝি সময়ে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির কাজের ধারাবাহিকতায় এনজিও গড়ে উঠেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এনজিও'র কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ও অন্যান্য সামাজিক উন্নয়ন কাজ ব্যাপকভাবে সম্পন্ন হয়।
বাংলাদেশে অসংখ্য এনজিও কাজ করে। এরা গ্রামীণ উন্নয়ন, শিশু ও নারীর ক্ষমতায়ন, পরিবেশ রক্ষা এবং দুর্যোগ মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে, এনজিও'র কার্যক্রম নিয়ে মাঝে মাঝে সমালোচনাও উঠে। এগুলোর জবাবদিহিতা এবং দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে।
প্রয়োজন স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা:
এনজিও'র কার্যক্রমের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য এনজিও'র আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও কাজের প্রতিবেদন সর্বজনীন হতে হবে। সরকারের পর্যাপ্ত নিয়ন্ত্রণ থাকা প্রয়োজন যাতে এনজিও'র কাজ জনকল্যাণমুখী হয় এবং কোনো দুর্নীতির শিকার না হয়।
উপসংহার:
এনজিও সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। জনকল্যাণমূলক কাজের মাধ্যমে এরা সামাজিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রখে। তবে, জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা বজায় রাখার মাধ্যমে এনজিও'কে আরও কার্যকর এবং বিশ্বাসযোগ্য বানানো জরুরি।