ইসলামী ব্যাংক

ইসলামী ব্যাংক সমূহের একটি বিস্তারিত চিত্র:

বাংলাদেশে ইসলামী শরীয়াহ-ভিত্তিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা ক্রমশ জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। এই প্রতিবেদনে আমরা বাংলাদেশের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ইসলামী ব্যাংকের উপর আলোকপাত করবো।

  • *গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড:** ২০২১ সালের জানুয়ারী থেকে সম্পূর্ণরূপে ইসলামী শরীয়াহ-ভিত্তিক ব্যাংক হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে। এটি ২৫ জন প্রবাসী বাংলাদেশীর উদ্যোগে ২০১৩ সালের ২৫ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন লাভ করে এবং ৫ আগস্ট এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক নামে কার্যক্রম শুরু করে। ২০১৩ সালের ৯ সেপ্টেম্বর এর সদর দপ্তর ঢাকার গুলশানের খন্দকার টাওয়ারে এবং পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ৬ মে গুলশানের সায়হাম টাওয়ারে স্থানান্তরিত হয়। ২০২১ সালে ব্যাংকটির ৮০টি শাখা, ২৫টি উপ-শাখা এবং ৭৮টি এটিএম বুথ ছিল। ২০২০ সালে আমানত ও ঋণের মধ্যে সুদ-হারের গড় ব্যবধান ছিল ৩.৯%।
  • *শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড:** ২০০১ সালের ১০ মে ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে। এটি ব্যক্তি মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক, যার সকল কার্যক্রম ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক পরিচালিত হয়। ব্যাংকটি বিভিন্ন আকর্ষণীয় বিনিয়োগ প্রকল্প, যেমন টাকা দ্বিগুণ/তিনগুণ বৃদ্ধি প্রকল্প, হজ্ব ডিপোজিট প্রকল্প, হাউজিং ডিপোজিট প্রকল্প ইত্যাদি চালু করেছে। ২০২০ সালে ব্যাংকের ১৩২টি শাখা, ৪৫টি এটিএম বুথ, ১০টি এসএমই শাখা এবং ১টি অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট ছিল। ২০২০ সালের মার্চে এর অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন ছিল যথাক্রমে ১৫,০০০ এবং ৯,৮০১ মিলিয়ন টাকা।
  • *সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (এসআইবিএল):** ১৯৯৫ সালের ২২ নভেম্বর ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে। এটি শরীয়াহ-ভিত্তিক ব্যাংক যা আনুষ্ঠানিক ব্যাংকিং, মাইক্রোক্রেডিট এবং এসএমই ফিন্যান্স এর ক্ষেত্রে কাজ করে। এটি ইসলামি ব্যাংক গুলোর মধ্যে প্রথম স্যাটেলাইট প্রযুক্তির মাধ্যমে অনলাইন ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে। এসআইবিএল দারিদ্র্য বিমোচন এবং জাতিসংঘের Millennium Development Goals (MDGs) অর্জনে ভূমিকা পালন করছে। এছাড়াও, এটি 'ক্যাশ ওয়াক্ফ সার্টিফিকেট' স্কিম চালু করে সামাজিক কল্যাণের কাজে অবদান রাখছে।
  • *ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড:** ১৩ মার্চ ১৯৮৩ সালে নিবন্ধিত এবং ২৮ মার্চ ১৯৮৩ সালে লাইসেন্স প্রাপ্ত হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম সুদমুক্ত ব্যাংক হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে। এটি দেশীয় ও বিদেশী স্পন্সরদের যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত। ২০২০ সালে এর অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন এবং রিজার্ভ ফান্ড ছিল যথাক্রমে ২০,০০০ মিলিয়ন ও ১৬,১০০ মিলিয়ন টাকা। ব্যাংকটি ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত।
  • *আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড:** ১৯৯৫ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর কার্যক্রম শুরু করে। এটি ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক পরিচালিত সুদমুক্ত বেসরকারী ব্যাংক। ব্যাংকটির বিনিয়োগ হালাল দ্রব্যাদি ক্রয়বিক্রয়ের উপর ভিত্তি করে।
  • *ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড:** ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৯৯ বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন লাভ করে এবং ২৫ অক্টোবর ১৯৯৯ ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে। এটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নতুন সঞ্চয় স্কিম চালু করেছে। ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারী থেকে ইসলামি ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে (২০২১) ব্যাংকটির ১১৯টি শাখা রয়েছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ২০২১ সালে পূর্ণাঙ্গ ইসলামী ব্যাংক হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে।
  • শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক ২০০১ সালে ইসলামী শরীয়াহ অনুসারে ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে।
  • সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
  • ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম সুদমুক্ত ব্যাংক।
  • আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক হালাল দ্রব্যাদি ক্রয়-বিক্রয়ের উপর ভিত্তি করে ব্যাংকিং করে।
  • ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ২০০৯ সালে শরীয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে।

গণমাধ্যমে - ইসলামী ব্যাংক

১ ডিসেম্বর ২০২৪

ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে।