ইরান সরকার

ইরানের ইসলামি প্রজাতন্ত্রী সরকার, সাধারণত ‘নেজাম’ নামে পরিচিত, ১৯৭৯ সালের ইরানী বিপ্লবের পর থেকে ক্ষমতায় আছে। এই ধর্মতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের সংবিধানে নির্বাহী, আইন প্রণয়ন ও বিচার বিভাগের মধ্যে ক্ষমতা পৃথকীকরণের কথা বলা হলেও, সর্বোচ্চ নেতা রাষ্ট্রপ্রধান এবং সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ ক্ষমতাধারী।

১৯৭৮ সালে শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভির বিরুদ্ধে শুরু হওয়া বিক্ষোভ ১৯৭৯ সালের জানুয়ারিতে শাহের নির্বাসনে পরিণত হয়। ফেব্রুয়ারিতে আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনির প্রত্যাবর্তন ও ১১ ফেব্রুয়ারী সেনাবাহিনীর নিরপেক্ষতা ঘোষণার মাধ্যমে পাহলভি রাজবংশের পতন ঘটে। এরপর ৩০-৩১ মার্চ গণভোটের মাধ্যমে ইসলামি প্রজাতন্ত্র গঠিত হয় এবং ২-৩ ডিসেম্বর ১৯৭৯ সালে সংবিধান অনুমোদিত হয়।

সংবিধানে ঈশ্বরের সার্বভৌমত্বের কথা থাকলেও, রাষ্ট্রপতি ও সংসদের জনপ্রিয় নির্বাচনকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে সর্বোচ্চ নেতা ও অভিভাবক পরিষদের ক্ষমতা সীমাহীন নয়। ইসলামি পরামর্শ পরিষদ ও অভিভাবক পরিষদ মিলে আইন প্রণয়ন করে। রাষ্ট্রপতি সরকারের প্রধান হিসেবে কাজ করেন, তবে সর্বোচ্চ নেতার অধীনস্থ। বিচার বিভাগ স্বাধীন।

ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে রয়েছে সেনাবাহিনী, ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কোর (সেপাহ) এবং আইন প্রয়োগকারী বাহিনী। ইরানের সম্প্রচার ব্যবস্থা, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান ব্রডকাস্টিং (IRIB), সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন। স্থানীয় পর্যায়ে শহর ও গ্রাম পরিষদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সর্বোচ্চ নেতা দ্বারা নিযুক্ত ‘এক্সপিডিয়েন্সি ডিসার্নমেন্ট কাউন্সিল’ বিভিন্ন দ্বন্দ্ব নিষ্পত্তির কাজ করে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৯৭৯ সালে ইরানী বিপ্লবের পর ইসলামি প্রজাতন্ত্র গঠিত হয়।
  • সর্বোচ্চ নেতা রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধারী।
  • সংবিধানে ঈশ্বরের সার্বভৌমত্বের পাশাপাশি জনপ্রিয় নির্বাচনের ব্যবস্থা রয়েছে।
  • আইন প্রণয়ন, নির্বাহী ও বিচার বিভাগের ক্ষমতা পৃথক, কিন্তু সর্বোচ্চ নেতার নিয়ন্ত্রণাধীন।
  • সেনাবাহিনী, সেপাহ ও পুলিশ ইরানের সশস্ত্র বাহিনী গঠন করে।

গণমাধ্যমে - ইরান সরকার

২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

ইরান সরকার হোয়াটসঅ্যাপ ও গুগল প্লে ব্যবহারের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে।

২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি মন্তব্য করেছেন।