ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচী

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচী ও মার্কিন নীতি: একটি উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক

বিদায়ী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন সম্প্রতি ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সাথে পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদন ইস্যুতে আলোচনায় বসতে পারেন। ব্লিঙ্কেনের মতে, তেহরানের পারমাণবিক অস্ত্র বিকাশ অনিবার্য নয় এবং আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তিনি স্বীকার করেছেন যে, ইরানের বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় পারমাণবিক অস্ত্রের বিকল্প সম্পর্কেও তারা গুরুত্ব সহকারে ভাবতে পারে।

ইরান বর্তমানে মার্কিন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা, ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, লেবাননের হিজবুল্লাহর দুর্বলতা এবং সিরিয়ায় প্রধান মিত্র বাশার আল-আসাদের পতন সহ বহু প্রতিকূলতার মুখোমুখি। এই পরিস্থিতি সত্ত্বেও, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে, যা আন্তর্জাতিক উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে।

২০১৫ সালে ইরানের সাথে একটি পারমাণবিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে সেটি প্রত্যাহার করে নেন এবং ইরানের উপর নানা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। বাইডেন প্রশাসনের সময়ও এই নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত ছিল। তবে ব্লিঙ্কেন জোর দিয়ে বলেছেন যে, কোনও মার্কিন প্রশাসন ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে দেবে না।

মূল তথ্যাবলী:

  • ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচী নিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
  • মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে দেবে না বলে জোর দিচ্ছে।
  • ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি ভেঙে ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
  • ইরানের অর্থনীতি ও সামরিক অবস্থা বর্তমানে অস্থির।

গণমাধ্যমে - ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচী

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচী নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে আলোচনার সম্ভাবনা উল্লেখ করেছেন।