ইতিহাদ স্টেডিয়াম: ম্যানচেস্টার সিটির অভিমানের ঘর
ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারে অবস্থিত ইতিহাদ স্টেডিয়াম, মূলত ২০০২ কমনওয়েলথ গেমসের জন্য নির্মিত হলেও, বর্তমানে এটি প্রিমিয়ার লিগ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটির ঘরের মাঠ হিসেবে পরিচিত। প্রায় ৫৩,৬০০ দর্শক ধারণক্ষমতা সম্পন্ন এই স্টেডিয়ামটি ইংল্যান্ডের ৭ম এবং যুক্তরাজ্যের ১১তম বৃহত্তম ফুটবল স্টেডিয়াম।
ইতিহাস:
মূলত ২০০০ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের জন্য একটি অ্যাথলেটিক্স এরিনা হিসেবে প্রস্তাবিত হলেও, ২০০২ কমনওয়েলথ গেমসের পরে এটিকে ৩৮,০০০ আসন থেকে ৪৮,০০০ আসন বিশিষ্ট একটি ফুটবল স্টেডিয়ামে রূপান্তরিত করা হয়। ম্যানচেস্টার সিটি ২০০৩ সালে তাদের প্রাক্তন ঘরের মাঠ মেইন রোড থেকে এখানে চলে আসে। ২০১৫ সালে দক্ষিণ স্ট্যান্ডে ৭,০০০ আসনের একটি তৃতীয় স্তর যোগ করা হয়। বর্তমানে, প্রায় ৬১,০০০ দর্শক ধারণক্ষমতায় উন্নীত করার জন্য ৩০০ মিলিয়ন পাউন্ডের একটি উন্নয়ন প্রকল্প চলছে।
উল্লেখযোগ্য ঘটনা:
স্টেডিয়ামটি ২০০৮ উয়েফা কাপ ফাইনাল, ইংল্যান্ডের আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ, রাগবি লিগ ম্যাচ, বক্সিং বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ এবং ২০০২ কমনওয়েলথ গেমস সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ খেলা এবং অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে।
বৈশিষ্ট্য:
এর উদ্ভাবনী ক্যাবল-স্টেড ছাদের নকশা এবং দর্শকদের সুবিধার দিকে নজর দেওয়ার জন্য অনেক প্রশংসা পেয়েছে। স্টেডিয়ামটিতে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে রেস্তোরাঁ, এক্সিকিউটিভ বক্স এবং অত্যাধুনিক খেলার মাঠ।
অবস্থান:
ইতিহাদ স্টেডিয়াম ম্যানচেস্টার শহরের কেন্দ্র থেকে ২.৫ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত। এটি স্পোর্টসিটির কেন্দ্রবিন্দু, যা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ক্রীড়া স্থানকেও ঘিরে রেখেছে।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি:
বিভিন্ন সময় স্টেডিয়ামটির সাথে জড়িত অনেক উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি রয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে ক্লাবের কর্মকর্তারা, খেলোয়াড়রা এবং ডিজাইনাররা।
সাম্প্রতিক উন্নয়ন:
২০২৩ সালে, ম্যানচেস্টার সিটি একটি নতুন হোটেল, ফ্যান পার্ক এবং ধারণক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য একটি ৩০০ মিলিয়ন পাউন্ডের উন্নয়ন পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।
শেষ কথা:
ইতিহাদ স্টেডিয়াম শুধুমাত্র একটি ফুটবল স্টেডিয়াম নয়, বরং এটি ম্যানচেস্টারের একটি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এর আর্কিটেকচার, সুযোগ-সুবিধা এবং উন্নয়নের ইতিহাস এটিকে একটি আকর্ষণীয় স্থান করে তুলেছে।