ইকবাল মাহমুদ

আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭:১১ পিএম
নামান্তরে:
Iqbal Mahmud
ইকবাল মাহমুদ

ইকবাল মাহমুদ: একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সম্ভাব্যতা

প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, "ইকবাল মাহমুদ" নামটি একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত। এই অনিশ্চয়তা দূর করার জন্য আমরা তথ্যগুলোকে দুটি ভাগে ভাগ করে বিশ্লেষণ করবো।

১. ইকবাল মাহমুদ (শিক্ষাবিদ):

এই ইকবাল মাহমুদ একজন বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাবেক উপাচার্য। তিনি ৮ মার্চ ১৯৪০ সালে ঢাকার রমনায় জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষাক্ষেত্রে অবদানের জন্য ২০০৫ সালে তাকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। তিনি ১৯৬০ সালে আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (বর্তমান বুয়েট) থেকে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন এবং ১৯৬২ ও ১৯৬৪ সালে ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যথাক্রমে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৬৪ সালে তিনি বুয়েটে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত বুয়েটের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০০ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান (১৯৮০-৮৯) এবং কৃষি ও বন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী (১৯৭৯-৮১) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য।

২. ইকবাল হাসান মাহমুদ (টুকু):

এই ইকবাল হাসান মাহমুদ, যিনি টুকু নামেও পরিচিত, একজন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) রাজনীতিবিদ। তিনি ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ ও কৃষি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার জন্ম সিরাজগঞ্জ জেলার কয়েলগাঁতী গ্রামে। তিনি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সিরাজগঞ্জ-২ আসনের প্রাক্তন সংসদ সদস্য। দুর্নীতির মামলায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল, যার চূড়ান্ত রায় এখনও চূড়ান্ত নয়।

প্রদত্ত তথ্য থেকে বোঝা যায় যে, দুজন ইকবাল মাহমুদ আছেন, যাদের পেশা, রাজনৈতিক অবস্থান ও জীবনী সম্পূর্ণ ভিন্ন। আমরা আরও তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করব এবং ভবিষ্যতে এই লেখা আপডেট করব।

মূল তথ্যাবলী:

  • ইকবাল মাহমুদ নামে দুইজন ব্যক্তি সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেছে।
  • একজন শিক্ষাবিদ ও বুয়েটের সাবেক উপাচার্য।
  • অন্যজন বিএনপি রাজনীতিবিদ ও প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী।
  • দুই ব্যক্তির জীবনী, পেশা ও রাজনৈতিক অবস্থান ভিন্ন।
  • আরও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।