আমানুল্লাহ ইমন

আপডেট: ১ জানুয়ারী ২০২৫, ২:২৭ পিএম

রাজশাহীতে আমানুল্লাহ ইমনের নৃশংস হত্যা: পাওনা টাকার জেরে দুর্বৃত্তদের হাতে প্রাণ গেল

গত ২৮ ডিসেম্বর রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে আমানুল্লাহ ইমন (২২) নামে এক যুবককে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। তিনি গোদাগাড়ী উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের মো. কামরুজ্জামানের পুত্র ছিলেন। পাওনা টাকা না দেওয়ার কারণে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ তদন্তে উঠে এসেছে।

এই ঘটনায় দুজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন- আরাফাত হোসেন নাহিদ (২৪) এবং আবু বক্কর সিদ্দিক আলিফ (২৫)। নাহিদ গোদাগাড়ীর নলত্রী গ্রামের বাসিন্দা এবং একজন ট্রাকচালক। আলিফ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার সাতনইল দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা এবং ট্রাকচালকের হেলপার।

পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, নাহিদ ১০,০০০ টাকা ইমনের কাছ থেকে পাওনা ছিল। টাকা আদায়ের জন্য সে আলিফকে ইমনের কাছে পাঠায়। কিন্তু ইমন টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে নাহিদ ও আলিফ ক্ষিপ্ত হয়ে একটি জুতার ফিতা, একটি ব্লেড ও একটি সাদা গেঞ্জি সংগ্রহ করে ইমনকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ২৮ ডিসেম্বর নলত্রী গ্রামে ইমনকে দেখে পেছন থেকে নাহিদ তাকে জাপটে ধরে এবং আলিফ গেঞ্জি দিয়ে তার মুখ বেঁধে জুতার ফিতা দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। এরপর আলিফ ব্লেড দিয়ে ইমনের গলা কেটে হত্যাকাণ্ডটি সম্পন্ন করে।

৩০ ডিসেম্বর ইমনের বাবা গোদাগাড়ী থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) এমএ কুদ্দুস অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেন এবং তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রাজশাহী অঞ্চলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে আমানুল্লাহ ইমন নামে এক যুবক হত্যা
  • ২৮ ডিসেম্বর ঘটেছে হত্যাকাণ্ড
  • পাওনা টাকা না দেওয়ার জেরে হত্যা
  • আরাফাত হোসেন নাহিদ ও আবু বক্কর সিদ্দিক আলিফ গ্রেফতার
  • অভিযুক্তরা আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - আমানুল্লাহ ইমন

২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

আমানুল্লাহ ইমন নামে এক যুবককে পাওনা টাকা না দেওয়ার কারণে খুন করা হয়েছে।

২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

আমানুল্লাহ ইমন নামে এক যুবককে পাওনা টাকা না দেওয়ার কারণে খুন করা হয়।