আমতলী

আমতলী: বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা, যা বরিশাল বিভাগের বরগুনা জেলার অন্তর্গত। ৩৯৮.৮৮ বর্গ কিমি আয়তনের এই উপজেলা ২১°৫১´ থেকে ২২°১৮´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°০০´ থেকে ৯০°২৩´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। উত্তরে পটুয়াখালী সদর, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, পূর্বে গলাচিপা ও কলাপাড়া এবং পশ্চিমে বরগুনা সদর ও মির্জাগঞ্জ উপজেলায় ঘেরা। ১৮৫৯ সালে স্থাপিত গুলিশাখালী থানা ১৯০৪ সালে আমতলীতে স্থানান্তরিত হয়। ১৯৮২ সালে থানাটি উপজেলায় উন্নীত হয় এবং ১৯৯৮ সালের ২৩শে আগস্ট আমতলী পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। আমতলীর জনসংখ্যা প্রায় ১৮২৭৯৮ জন, যার মধ্যে পুরুষ ৮৮৪৬১ এবং মহিলা ৯৪৩৩৭ জন। মুসলিম জনসংখ্যা ১৭২৩৬৭, হিন্দু ১০৪০৯, বৌদ্ধ ১০ এবং অন্যান্য ১২। বুড়িশ্বর ও আন্ধারমানিক নদী এবং রাবনাবাদ চ্যানেল আমতলীর উল্লেখযোগ্য জলাশয়। অর্থনীতিতে কৃষির অবদান ৭০.৪৬%। ধান, চিনাবাদাম, খেসারি, মুগ, ছোলা, সরিষা, আলু, মরিচ, কুমড়া প্রধান কৃষি ফসল। তাঁতশিল্প, লৌহশিল্প, ওয়েল্ডিং কারখানা, মৃৎশিল্প, বাঁশ, বেত ও কাঠের কাজ উল্লেখযোগ্য কুটির শিল্প। আমতলী ডিগ্রি কলেজ (১৯৬৯) এবং আমতলী একে পাইলট হাইস্কুল (১৯৩৪) উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ঐতিহাসিক দিক থেকে তেপুরার গাজী কালুর মাযার এবং চাওড়া পাতাকাটার মাটির দুর্গ উল্লেখযোগ্য। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমতলীর অধিকাংশ এলাকা মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় ও প্লাবনে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। আমতলীর সংস্কৃতি বর্ণাঢ্য, সংগীত, নাচ এবং চিত্রকর্মের প্রচলন রয়েছে। মগ ও চাকমা জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • আমতলী বরগুনা জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা
  • ১৯৮২ সালে থানা থেকে উপজেলায় উন্নীত
  • ১৯৯৮ সালে পৌরসভা প্রতিষ্ঠা
  • প্রায় ১৮৩,০০০ জনসংখ্যা
  • কৃষি প্রধান অর্থনীতি
  • ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব