আব্দুল লতিফ মির্জা

আবদুল লতিফ মির্জা: বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিবিদ

আবদুল লতিফ মির্জা (আনুমানিক ১৯৪৪ - ৫ নভেম্বর ২০০৭) বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ জেলার একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এবং মুক্তিযুদ্ধের একজন বীর যোদ্ধা ছিলেন। তিনি পাবনা-৪ এবং সিরাজগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। তার জন্ম সিরাজগঞ্জ জেলায়। তিনি মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং ‘লতিফ মির্জা বাহিনী’ নামে একটি মুক্তিযোদ্ধা বাহিনী গঠন করেছিলেন। এই বাহিনী সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, নাটোর, রাজশাহী এবং পাবনা অঞ্চলে অত্যন্ত সক্রিয় ছিল। প্রাথমিকভাবে ৭ টি রাইফেল ও ১৫ জন যোদ্ধা নিয়ে যাত্রা শুরু করা এই বাহিনী পরবর্তীতে ১০,০০০ এর বেশি যোদ্ধা এবং অসংখ্য অস্ত্রের অধিকারী হয়ে ওঠে। চলনবিলের বিস্তীর্ণ এলাকা ছিল লতিফ মির্জা বাহিনীর শক্ত ঘাঁটি। কাশিনাথপুর ডাব বাগানের যুদ্ধ, ইটনা যুদ্ধ, ফরিদপুর থানা যুদ্ধ এবং সাঁথিয়া যুদ্ধ লতিফ মির্জা বাহিনীর উল্লেখযোগ্য কিছু যুদ্ধ।

তিনি ৬ দফা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। ১৯৭৯ সালে পাবনা-৪ আসন থেকে এবং ১৯৮৬ এবং ১৯৯৬ সালে সিরাজগঞ্জ-৪ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ৫ নভেম্বর ২০০৭ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। আবদুল লতিফ মির্জা বাংলাদেশের রাজনীতি ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে একজন অবিস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে স্মরণীয় থাকবেন।

মূল তথ্যাবলী:

  • আবদুল লতিফ মির্জা ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিবিদ।
  • তিনি ‘লতিফ মির্জা বাহিনী’ গঠন করে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
  • তিনি পাবনা-৪ এবং সিরাজগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।
  • তিনি ২০০৭ সালে মারা যান।

গণমাধ্যমে - আব্দুল লতিফ মির্জা

আবদুল লতিফ মির্জা পলাশডাঙ্গা যুব শিবিরের অধিনায়ক ছিলেন। ১১ নভেম্বর পলাশডাঙ্গায় প্রায় ১২ ঘণ্টার এক ভয়ঙ্কর যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে প্রায় তিনশত পাক সেনা ও রাজাকার নিহত হয়। এই যুদ্ধে আবদুল লতিফ মির্জার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।