আবহাওয়া অফিসার

পঞ্চগড়ের তীব্র শীতের প্রেক্ষিতে আবহাওয়া অফিসারদের ভূমিকা সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন:

টানা কয়েকদিন ধরে পঞ্চগড় জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। হঠাৎ হিমেল হাওয়ার বৃদ্ধির ফলে তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করছে, যার ফলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। তেতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ২২ ডিসেম্বর সকাল ৯ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিসের মতে, হিমালয় পর্বতের কাছাকাছি অবস্থানের কারণে পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা অন্যান্য জেলার তুলনায় বেশি থাকে। হিমেল হাওয়া ও তাপমাত্রার ওঠানামা কনকনে শীতের অনুভূতি তৈরি করে। গতকালের তুলনায় আজ কিছুটা হিমেল হাওয়া কমেছে এবং কুয়াশা বেড়েছে, তবে শীতের তীব্রতা কমেনি। দিনভর সূর্যের আলো থাকলেও সন্ধ্যায় শীতের তীব্রতা বেড়ে যায়। শীতবস্ত্রের অভাবে গরিব ও অসহায় মানুষ চরম বিপাকে পড়েছেন। ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত নিম্ন আয়ের মানুষেরা কাজের সন্ধানে বের হলেও, এই সময়েই বেশি শীত, কুয়াশা ও হিমেল হাওয়া বয়ে যায়, ফলে অনেকে কাজে যেতে পারছেন না অথবা কাজের সময় কমিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, উত্তরে হিমেল হাওয়ার কারণে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে এবং তাপমাত্রা আরও দুই-একদিনের মধ্যে হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া অফিসাররা এই ধরণের তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ এবং জনগণকে সতর্ক করার মাধ্যমে জনসাধারণের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

মূল তথ্যাবলী:

  • পঞ্চগড়ে তীব্র শীতের প্রকোপ
  • তেতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস
  • হিমেল হাওয়ার প্রভাবে তাপমাত্রার ওঠানামা
  • গরিব মানুষের দুর্ভোগ
  • আবহাওয়া অফিসারদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

গণমাধ্যমে - আবহাওয়া অফিসার

মো. তোফাজ্জল হোসেন দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের অফিসার ইনচার্জ। তিনি কালবেলাকে তাপমাত্রার তথ্য দিয়েছেন।