আফগান সেনাবাহিনী: ইতিহাস, উত্থান ও পতন
আফগানিস্তানের সেনাবাহিনীর ইতিহাস দীর্ঘ ও জটিল। ১৮ শতকের শুরুতে হোটাক রাজবংশের উত্থানের সাথে সাথে আফগানিস্তানে একটি স্বতন্ত্র সেনাবাহিনীর সূচনা হয়। আহমদ শাহ দুররানির আমলে এটি শক্তিশালী হয় এবং ১৮৮০ সালে আমির আবদুর রহমান খানের শাসনামলে পুনর্গঠিত হয়। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আফগানিস্তান নিরপেক্ষ ছিল, কিন্তু ১৯৬০ থেকে ১৯৯০ এর দশকে সোভিয়েত ইউনিয়নের সাহায্য পেত।
১৯৯২ সালে নাজিবুল্লাহর পদত্যাগের পর সেনাবাহিনী বিলুপ্ত হয়ে যায়। ১৯৯৬ সালে তালেবান ক্ষমতা গ্রহণ করে নিজস্ব সেনাবাহিনী গঠন করে, যা ২০০১ সাল পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। ২০০১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান আক্রমণ করে তালেবান বিরোধী অভিযান শুরু করে এবং আফগান সেনাবাহিনীকে নিয়ন্ত্রণে নেয়। ২০১৬ সাল নাগাদ আফগানিস্তানের বেশিরভাগ এলাকা সরকারের নিয়ন্ত্রণে ছিল, কিন্তু পরবর্তী কয়েক বছরে তালেবানের কাছে ব্যাপক এলাকা হারায়। ২০২১ সালে তালেবান কাবুল দখল করে এবং আফগান সেনাবাহিনী কার্যত বিলুপ্ত হয়।
২০২১ সালের পর তালেবান সাবেক আফগান সৈন্য এবং তালেবান যোদ্ধাদের নিয়ে একটি নতুন সেনাবাহিনী গঠন করে। ক্বারী ফসিহ উদ্দীন বর্তমান সেনাবাহিনীর প্রধান।
আফগান সেনাবাহিনী বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অস্ত্র ব্যবহার করেছে। ১৯৭০ এর দশক থেকে সোভিয়েত একে-৪৭ মূল অস্ত্র ছিল। মার্কিন সহায়তার পর এম১৬ রাইফেল ও অন্যান্য অত্যাধুনিক সরঞ্জামও ব্যবহৃত হয়। আফগানিস্তান ভারত ও রাশিয়ার থেকেও সামরিক সরঞ্জাম পেয়েছে।
আফগান সেনাবাহিনীর ইতিহাসে বিভিন্ন ঘটনা, ব্যক্তি, স্থান এবং সংখ্যাগত তথ্য উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে। তবে, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে সেনাবাহিনীর দুর্বলতা, দুর্নীতি এবং মনোবলের অভাবের কারণে এর পতন ঘটেছে।