আন্তর্জাতিক ক্রিকেট: ইতিহাস, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ইতিহাস বিশাল ও রোমাঞ্চকর। একবিংশ শতাব্দীর শুরু পর্যন্ত এর কোনও সুসংগঠিত কাঠামো ছিল না। বিভিন্ন দেশ নিজেদের মতো করে ক্রিকেট খেলা পরিচালনা করত। ১৯০৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়ন্ত্রণ ও সুশৃঙ্খলতা আসে। আইসিসি টেস্ট ক্রিকেট খেলার দেশগুলোকে দীর্ঘমেয়াদী খেলা পরিকল্পনার অধীনে একে অপরের সাথে খেলার ব্যবস্থা করে। এই "ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম" দুর্বল দলগুলোকেও শক্তিশালী দলের সাথে খেলার সুযোগ করে দেয়।
অধিকাংশ টেস্ট ও একদিনের ম্যাচ হয় দেশান্তর সফরের অংশ হিসেবে। সফরকারী দল প্রস্তুতিমূলক খেলা, প্রথম-শ্রেণীর খেলা এবং ঘরোয়া দলের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলে। টেস্ট সিরিজ দুই থেকে ছয়টি ম্যাচ নিয়ে গঠিত হতে পারে। ১৯৭০ ও ৮০-এর দশকে ছয় ম্যাচের টেস্ট সিরিজ প্রচলিত ছিল। ত্রি-দেশীয় সিরিজও একটি জনপ্রিয় ধারা, যাতে তিনটি দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে খেলে। জয়ের জন্য পয়েন্ট প্রদান করা হয় এবং সর্বাধিক পয়েন্ট পাওয়া দল চূড়ান্ত খেলায় খেলে। অ্যাশেজ সিরিজ ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে ক্রিকেটের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী ও গুরুত্বপূর্ণ টেস্ট সিরিজ।
আইসিসি দীর্ঘমেয়াদী খেলা পরিকল্পনা (যেমন দশ বছরের পরিকল্পনা) তৈরি করে, যাতে প্রত্যেক টেস্ট খেলুড়ে দেশ অন্যদের সাথে দেশে ও বিদেশে খেলার নিশ্চয়তা পায়। তবে, খেলার অতিরিক্ত সংখ্যা আঘাতের ঝুঁকি এবং খেলোয়াড়দের মানসিক চাপের কথা উঠে আসে। ফলে আইসিসি এই পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনা করে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রধান প্রতিযোগিতাগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্রিকেট বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবং টি-২০ বিশ্বকাপ। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট র্যাঙ্কিং ও রয়েছে, যা দলগুলোর ক্ষমতা মূল্যায়নের জন্য ব্যবহৃত হয়।
বাংলাদেশের ক্রিকেটের ইতিহাস:
বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর ক্রিকেট বিকাশে কাজ শুরু করে। ২০০০ সালে টেস্ট খেলার মর্যাদা পায় এবং বিশ্বের সেরা দলগুলোর বিরুদ্ধে খেলা শুরু করে। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল বিভিন্ন বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করে এবং উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। বিশেষ করে ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফি জয় এবং বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ বাংলাদেশের ক্রিকেটে নতুন মাত্রা আনে। বাংলাদেশ বিশ্বকাপের আয়োজনও করেছে (২০১১)।