ঢাকা মহানগরীর উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত আদাবর থানা একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। ২০০৫ সালের ২৭ জুন মোহাম্মদপুর থানার অংশ বিশেষ নিয়ে আদাবর থানা গঠিত হয়। ২.০৭ বর্গ কিমি আয়তনের এই থানার উত্তরে দারুস সালাম থানা, দক্ষিণে মোহাম্মদপুর থানা, পূর্বে শেরেবাংলা নগর ও মোহাম্মদপুর থানা এবং পশ্চিমে সাভার উপজেলা, দারুস সালাম ও মোহাম্মদপুর থানা অবস্থিত। ২৩°৪৫´৪১´´ থেকে ২৩°৪৬´৪১´´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°২০´৪৩´´ থেকে ৯০°২২´০১´´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে এর অবস্থান।
আদাবরের জনসংখ্যা প্রায় ৮৬৫৪০, যার মধ্যে পুরুষ ৪৭০৯২ এবং মহিলা ৩৯৪৪৮। ধর্মীয় জনসংখ্যা বিভাজনে মুসলিম ৮৫২৩৮, হিন্দু ১০৭৯, বৌদ্ধ ১৯০, খ্রিস্টান ২৮ এবং অন্যান্য ৫। এই এলাকার প্রধান নদী হল তুরাগ। শিক্ষার হার ৬২.২৪%, পুরুষদের মধ্যে ৬৭.১৪% এবং মহিলাদের মধ্যে ৫৬.৩১%। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হল বাদশাহ ফয়সাল ইনস্টিটিউট।
আদাবরের অর্থনীতি কৃষি, অকৃষি শ্রমিক, শিল্প, ব্যবসা, পরিবহণ, নির্মাণ, ধর্মীয় সেবা, চাকরি, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স এবং অন্যান্য উৎসের উপর নির্ভরশীল। গার্মেন্টস শিল্প এবং ছাপাখানা উল্লেখযোগ্য শিল্প। স্বর্ণশিল্প, মৃৎশিল্প, কাঠের কাজ, বাঁশের কাজ এবং বেতের কাজ এখানকার উল্লেখযোগ্য কুটির শিল্প। আদাবর কৃষি মার্কেট একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার। তৈরি পোশাক এর প্রধান রপ্তানিদ্রব্য।
আদাবর থানার সব ওয়ার্ড বিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন, তবে ৯৩.২১% পরিবার বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। পানীয়জলের উৎস নলকূপ, পুকুর, ট্যাপ, কূপ এবং অন্যান্য। স্যানিটেশন ব্যবস্থা উন্নত, তবে কিছু পরিবার এখনও অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। থানায় ৩টি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র রয়েছে। ব্র্যাক এবং ওয়াল্ড ভিশন এর মতো এনজিও এর কার্যক্রম এখানে চলছে। আদাবরের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন।