আছিয়া খাতুন: একজন সাবেক সচিব ও দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রথম নারী কমিশনার
মোসাম্মৎ আছিয়া খাতুন একজন অবসরপ্রাপ্ত সচিব এবং বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রথম নারী কমিশনার হিসেবে ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছেন। ১৯৬৩ সালে অবিভক্ত কুষ্টিয়া জেলার চুয়াডাঙ্গা মহকুমার দর্শনায় জন্মগ্রহণকারী আছিয়া খাতুন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিসাববিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি আন্তর্জাতিক সামাজিক গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে নারী ও লিঙ্গ অধ্যয়নে এবং সিঙ্গাপুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাবলিক পলিসিতে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। নানিয়াং টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি থেকে তিনি এমবিএ ডিগ্রি লাভ করেন।
২৬ জানুয়ারী ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন ক্যাডারে যোগদানের পর আছিয়া খাতুন নোয়াখালী জেলার সহকারী কমিশনার, খুলনা জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়-এ সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন। জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমির পরিচালক, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন একাডেমির সদস্য পরিচালনা স্টাফ এবং বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়ের সচিব হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন। ৩ জানুয়ারী ২০২২ সালে সচিব পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
২০২৩ সালের জুন মাসে তিনি উচ্চ আদালত বিভাগের বিচারকের সমমর্যাদায় দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত হন। কমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আব্দুল্লাহর অধীনে যোগদান করে তিনি মোজাম্মেল হক খানকে প্রতিস্থাপন করেন। নিয়োগের পর তিনি রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দীন-এর সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং তার পরামর্শ নেন। আছিয়া খাতুনের স্বামী বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোকাম্মেল হোসেন। তিনি দুদকের প্রথম নারী কমিশনার হিসেবে অসাধারণ অবদান রেখেছেন।