লালমনিরহাটে আখের ইসলাম ও লাঠিচার্জের ঘটনা
লালমনিরহাটে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা আখের ইসলামের নাম জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। ৮ জানুয়ারি, ২০২৪ তারিখে ঘটনার পর পুলিশের দুইজন কর্মকর্তা, লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর কাদের এবং জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) ওসি ফিরোজ হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়।
বিএনপি নেতাকর্মীদের দাবি, মোস্তফি এলাকার একটি কোল্ড স্টোরেজে আওয়ামী লীগ নেতা আখের ইসলামের উপস্থিতিতে একটি দাওয়াত অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার ও দুই ওসি উপস্থিত ছিলেন। বিএনপির তিনজন কর্মী অনুষ্ঠানের ছবি তুলতে গেলে পুলিশ তাদের আটক করে। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে শতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মী কোল্ড স্টোরেজের সামনে জড়ো হন এবং পুলিশ তিনজনকে ছেড়ে দেয়। পরে পুলিশ কর্মকর্তাদের শাস্তির দাবিতে বিএনপি নেতা-কর্মীরা রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে পুলিশ অবরোধকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করে, যাতে অন্তত ২০ জন বিএনপি নেতা-কর্মী আহত হন।
গোকুন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। আহতদের অভিযোগ, পুলিশ বিনা কারণে লাঠিচার্জ করেছে এবং আওয়ামী লীগ নেতা আখের ইসলামের সাথে পুলিশ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিই এই ঘটনার কারণ। প্রত্যাহারকৃত ওসি আব্দুল কাদের বলেন, ছবি তোলা ব্যক্তিরা মাদক ব্যবসায়ী ছিল, এবং তারা সড়ক অবরোধকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করেছিল। তিনি আখের ইসলামকে চিনতেন না বলেও জানান। পুলিশ সুপার মো. তরিকুল ইসলাম তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। আখের ইসলামের পেশা, বয়স, জাতিগত পরিচয় ইত্যাদি তথ্য এই প্রতিবেদনে নেই। এই তথ্য উপলব্ধ হলে আমরা আপনাদের জানাবো।