অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস

শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট ইতিহাসে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের নাম সর্বদা উজ্জ্বল অক্ষরে লেখা থাকবে। ২রা জুন, ১৯৮৭ সালে কলম্বোতে জন্মগ্রহণকারী এই অসাধারণ অলরাউন্ডার ক্রিকেটার শুধুমাত্র তার দক্ষতার জন্যই নয়, বরং তার নেতৃত্বের গুণাবলী এবং কঠোর পরিশ্রমের জন্যও স্মরণীয়। তামিল পিতা এবং সিংহলীজ মাতার সন্তান অ্যাঞ্জেলো, কলম্বোর সেন্ট জোসেফ'স কলেজ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন। ২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কার অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ দলের অধিনায়ক হিসাবে তিনি নিজেকে প্রমাণ করেন। নভেম্বর, ২০০৮ সালে জিম্বাবুয়ে দলের বিরুদ্ধে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়। তিনি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং সাহারা পুনে ওয়ারিয়র্সের হয়ে খেলেছেন। কুমার সাঙ্গাকারার পর শ্রীলঙ্কার অধিনায়কের দায়িত্ব পান তিনি। ২০০৯ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গ্যালেতে তার টেস্ট অভিষেক হয়। তিনি ২০১১ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে এবং ২০১৪ সালের এশিয়া কাপ জয়ী দলের অংশ ছিলেন। তার অধিনায়কত্বকালে শ্রীলঙ্কা ইংল্যান্ডে প্রথমবারের মতো টেস্ট সিরিজ জিতেছিল। তিনি একদিনের আন্তর্জাতিকে লসিথ মালিঙ্গার সাথে সর্বোচ্চ নবম উইকেট জুটির রেকর্ড গড়েছিলেন। ২০১৮ সালে এশিয়া কাপে ব্যর্থতার পর একদিনের ক্রিকেটের অধিনায়কত্ব থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তবে, তার ক্রিকেট জীবন অনেক উত্থান-পতনের সাক্ষী, একবার একদিনের আন্তর্জাতিক ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অধিনায়ক থেকে সরে যাওয়ার পরেও পুনরায় সেই দায়িত্ব পেয়েছিলেন। ২০২৩ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এক অভাবনীয় ঘটনা ঘটে, একজন ক্রিকেটার হিসাবে প্রথমবারের মতো তিনি ‘টাইমড আউট’ হয়ে আউট হন। তিনি ১০০টির বেশি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন এবং ৭০০০ এর অধিক টেস্ট রান করেছেন। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস শুধু একজন ক্রিকেটার নন, তিনি একজন উদার মানুষও, 'লিটল হার্টস' নামক দাতব্য প্রকল্পে অংশগ্রহণ করেছেন, যা শিশুদের জন্য কার্ডিয়াক ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্দেশ্যে কাজ করছে। তার ফিটনেস এবং উৎসাহজনক বক্তৃতাও অনেকের কাছে প্রেরণাদায়ক।

মূল তথ্যাবলী:

  • কলম্বোতে জন্মগ্রহণ
  • শ্রীলঙ্কার টেস্ট ও একদিনের ক্রিকেট অধিনায়ক
  • ২০০৬ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ অধিনায়ক
  • আইপিএলে খেলা
  • ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজ জয়
  • ২০১৪ এশিয়া কাপ জয়
  • বিশ্বকাপে ‘টাইমড আউট’ হওয়া
  • দাতব্য কাজে অংশগ্রহণ