অনিন্দ্র দে

আপডেট: ৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৪:৪৭ পিএম

ফেনীতে বই উৎসবের ছবি নেই, অনিন্দ্র দে-র মতো অনেক শিক্ষার্থীই বই পেল না

২০২৫ শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই ফেনী জেলার অনেক শিক্ষার্থী নতুন বই পায়নি। প্রাথমিকের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বই পেলেও, প্রাক-প্রাথমিক, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বই পায়নি। মাধ্যমিক ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের অবস্থা আরও খারাপ। জেলায় মাধ্যমিকের মাত্র ১.২৬ শতাংশ বই এসেছে, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা এখনও বই হাতে পায়নি।

দাগনভূঞা উপজেলার লালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র অনিন্দ্র দে জানিয়েছেন, তিনি নতুন বই পাননি। প্রতিবার বই উৎসব হলেও এবার তা হয়নি। শিক্ষকরাও বই কবে পাওয়া যাবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি। অনিন্দ্র দে'র মতো অনেক শিক্ষার্থীরই একই অভিজ্ঞতা। ফেনী সদর উপজেলার গোয়াডুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী শারমিন আক্তারও বই পাননি।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিকে জেলায় মোট ৫ লাখ ৬৬ হাজার ৫৭৬টি বই বরাদ্দ ছিল। প্রথম তিনটি শ্রেণির শতভাগ বই এসেছে, কিন্তু প্রাক-প্রাথমিক, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির ৩ লাখ ১৬১টি বইয়ের একটিও আসেনি। মাধ্যমিক ও মাদ্রাসায় মোট ৩৭ লাখ বইয়ের চাহিদা থাকলেও, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাত্র ৭৯ হাজার ৩০৪টি বই এসেছে। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চাহিদার সব বই আসতে আরও ১৫-২০ দিন লাগতে পারে।

বই না পাওয়ায় অভিভাবকদের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে। অনেক অভিভাবক শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই সরকারের আন্তরিকতার অভাব দেখে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চলতি মাসেই সকল শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দেওয়া হবে। তবে, অনিন্দ্র দে’র মতো শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এই আশ্বাস কতটা বাস্তবায়িত হবে তা সময়ই বলে দেবে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ফেনীতে নতুন শিক্ষাবর্ষে অনেক শিক্ষার্থী বই পায়নি।
  • প্রাথমিকের চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বই পায়নি।
  • মাধ্যমিক ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের জন্য বইয়ের অভাব রয়েছে।
  • জেলা প্রশাসন চলতি মাসের মধ্যে বই বিতরণের আশ্বাস দিয়েছে।
  • অনিন্দ্র দে নামের এক শিক্ষার্থী বই না পাওয়ার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - অনিন্দ্র দে

অনিন্দ্র দে দাগনভূঞা উপজেলার লালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র। সে নতুন বই পায়নি।