৯৯৯: বাংলাদেশের জাতীয় জরুরী সেবা
বাংলাদেশে ৯৯৯ নম্বরটি একটি জাতীয় জরুরী সেবা হেল্পলাইন যা ২০১৭ সালের ১২ই ডিসেম্বর চালু করা হয়। এই টোল-ফ্রি নম্বরে কল করে যে কেউ পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস এবং অ্যাম্বুলেন্স সেবা পেতে পারেন। বাংলাদেশ পুলিশ এই সেবা পরিচালনা করে। সেবাটি ২৪ ঘন্টা সক্রিয় থাকে এবং যেকোনো মোবাইল ফোন থেকে, ব্যালেন্স না থাকলেও কল করা সম্ভব। ৬০.৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই জাতীয় জরুরী হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে।
৯৯৯-এর মাধ্যমে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস এবং অ্যাম্বুলেন্স ছাড়াও অন্যান্য জরুরী পরিষেবায় সহায়তা পাওয়া যায়। যদিও ৯৯৯ বাংলাদেশ পুলিশ দ্বারা পরিচালিত, তবে ফায়ার সার্ভিস, সিভিল ডিফেন্স এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা প্রদানকারীরাও এই নম্বরের মাধ্যমে সহায়তা প্রদানে সক্রিয়ভাবে কাজ করে।
অতীতে, বাংলাদেশে পৃথক পৃথক জরুরী পরিষেবার জন্য ১০০ (পুলিশ), ১০১ (র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন), ১০২ (ফায়ার সার্ভিস), ১০৩ (অ্যাম্বুলেন্স) এবং ১০৪ (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন তথ্য অ্যাক্সেস প্রোগ্রাম) নম্বর ব্যবহার করা হতো। ৯৯৯ চালু হওয়ার পর এই পৃথক নম্বরগুলোর ব্যবহার কমে গেছে।
৯৯৯ ব্যবহারের সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখা উচিত: জরুরী পরিস্থিতিতে কল করুন, অপ্রয়োজনীয় কল এড়িয়ে চলুন। সুনির্দিষ্ট তথ্য যেমন ঘটনাস্থল, ঘটনা সম্পর্কে সঠিক বিবরণ প্রদান করুন। অপ্রাসঙ্গিক আবেগ প্রকাশ এড়িয়ে চলুন। মিথ্যা তথ্য প্রদান না করার চেষ্টা করুন।
৯৯৯ সেবাটির কার্যক্রম নিয়মিতভাবে পর্যালোচনা ও উন্নয়ন করা হচ্ছে যাতে নাগরিকদের আরও দ্রুত এবং কার্যকরী সেবা প্রদান করা যায়।