হযরত হোসেন

আপডেট: ৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১:৫২ পিএম

হযরত ইমাম হোসেন (আঃ) ইসলামের নবী মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর দৌহিত্র, হযরত আলী (আঃ) এবং হযরত ফাতেমা (আঃ)-এর পুত্র ছিলেন। তিনি ৪ হিজরির শাবান মাসের ৩ তারিখ (১১ জানুয়ারী, ৬২৬ খ্রিস্টাব্দ) মদিনায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১০ অক্টোবর ৬৮০ সালে (১০ মুহররম ৬১ হিজরি) কারবালার যুদ্ধে শহীদ হন। শিয়া ইসলামে তিনি তৃতীয় ইমাম হিসেবে শ্রদ্ধা পান। তার জন্মের পর মুহাম্মদ (সাঃ) ভেড়া কুরবানি করেন এবং ফাতেমা (আঃ) তার ওজনের সমপরিমাণ রূপা দান করেন। হযরত ইমাম হোসেন (আঃ) এর শাহাদাতের পেছনে রয়েছে উমাইয়া শাসক ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়ার ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র। ইয়াজিদ তার প্রতি আনুগত্য চাইলে, হোসেন (আঃ) মক্কায় আশ্রয় নেওয়ার উদ্দেশ্যে মদীনা ত্যাগ করেন। কুফার লোকদের আমন্ত্রণে কুফার দিকে যাওয়ার সময় কারবালায় ইয়াজিদের বাহিনীর হাতে শহীদ হন। এই যুদ্ধে তাঁর পরিবারের সদস্য এবং অনুসারীরাও নিহত হন। হোসেন (আঃ)-এর শাহাদাতের ঘটনাকে ইসলামী ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও মর্মান্তিক ঘটনা হিসেবে গণ্য করা হয়। তার মৃত্যু উমাইয়া খিলাফতের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সৃষ্টি করে এবং পরবর্তীতে আব্বাসীয় বিপ্লবে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

মুহাবালা

মূল তথ্যাবলী:

  • হযরত ইমাম হোসেন (আঃ) ছিলেন হযরত আলী (আঃ) ও হযরত ফাতেমা (আঃ) এর পুত্র।
  • তিনি ৪ হিজরিতে মদিনায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ৬১ হিজরিতে কারবালার যুদ্ধে শহীদ হন।
  • শিয়া ইসলামে তিনি তৃতীয় ইমাম।
  • ইয়াজিদের ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্রের কারণে তিনি শহীদ হন।
  • কারবালার যুদ্ধ ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও মর্মান্তিক ঘটনা।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - হযরত হোসেন

জানুয়ারী ০৩, ২০২৫

হযরত হোসেনের স্ত্রীর গলার চেইন ওয়াজ মাহফিলে চুরি হয়ে গেছে।