ঢাকার স্বামীবাগ: একাধিক মন্দির ও আশ্রমের সমন্বয়ে গঠিত একটি ঐতিহাসিক স্থান
ঢাকার গেন্ডারিয়া অঞ্চলে অবস্থিত স্বামীবাগ নামটি একাধিক মন্দির ও আশ্রমকে নিয়ে গঠিত একটি ঐতিহাসিক স্থানের সাথে সম্পর্কিত। এটি বিভিন্ন ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য পরিচিত। এই প্রবন্ধে আমরা ঐ সকল মন্দির ও আশ্রমের তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করব।
শ্রীশ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির ও স্বামীবাগ আশ্রম: ১৮৯৯ সালে মহান যোগী ত্রৈলঙ্গ স্বামীর শিষ্য শ্রীরুদ্র ত্রিদণ্ডী ত্রিপুরলিঙ্গ স্বামী মহারাজ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত শ্রীশ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির স্বামীবাগ আশ্রম নামেও পরিচিত। ১৯৮৪ সালে শ্রী যশোদা নন্দন আচার্য আশ্রমের সেবায়েতের দায়িত্ব পান এবং ২০০০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ইসকনকে এর ব্যবস্থাপনা ও সেবায়েতের দায়িত্ব অর্পণ করেন। এরপর থেকে বাংলাদেশ ইসকনের কার্যক্রম এই আশ্রম থেকে পরিচালিত হচ্ছে। এই মন্দির থেকে প্রতি বছর জগন্নাথের রথযাত্রা শুরু হয় এবং ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে গিয়ে শেষ হয়। ২০০৪ সালের ১ জুলাই রথযাত্রার সময় এই মন্দিরে আক্রমণের ঘটনাও ঘটেছিল।
লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম ও মন্দির: স্বামীবাগের আরেকটি উল্লেখযোগ্য মন্দির হলো লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম ও মন্দির। ১৯০৫ সালে শক্তি ঔষধালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মথুরামোহন মুখোপাধ্যায় এটি প্রতিষ্ঠা করেন। এখানে রাধা কৃষ্ণ ও লোকনাথ ব্রহ্মচারী প্রধান পূজিত। আধুনিক নকশার এই আশ্রমে সাধু ও ভক্তদের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।
অন্যান্য মন্দির: স্বামীবাগে শ্রীশ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির ছাড়াও শিব মন্দির এবং কালী মন্দির রয়েছে। এই দুই মন্দিরের প্রতিষ্ঠা ২১ বৈশাখ ১৮২৪ শকাব্দ (১৯০২ খ্রিস্টাব্দ)তে হয়েছিল।
স্বামীবাগের এই মন্দিরগুলি ঢাকার ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আরো বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলে, এই প্রবন্ধটি আরও সমৃদ্ধ করা হবে।