বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটে ‘সেঞ্চুরিয়ান’ বলতে বোঝায় একাধিক ব্যক্তি বা সংস্থা, যারা ক্রিকেটে শতরান করেছেন। এই নিবন্ধে আমরা কয়েকজন সেঞ্চুরিয়ানের বিবরণ তুলে ধরবো এবং তাদের মধ্যে পার্থক্য স্পষ্ট করার চেষ্টা করবো।
মুর্শিদা খাতুন: নারী বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল) এর চতুর্থ সেঞ্চুরিয়ান হলেন ওপেনার মুর্শিদা খাতুন। ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪-এ রাজশাহীতে ইস্ট জোনের বিপক্ষে ১৮১ বলে ১৩টি চারের সাহায্যে ১২২ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেন।
নিগার সুলতানা জ্যোতি: বিসিএলের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান। তিনি রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে ১৩ পৌষ ১৪৩১ (২৮ ডিসেম্বর ২০২৪) মধ্যাঞ্চলের হয়ে উত্তরাঞ্চলের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ১৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন। ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর নেপালের পোখরায় এসএ গেমস নারী ক্রিকেটে মালদ্বীপের বিপক্ষেও সেঞ্চুরি করেছিলেন। এটি ছিল নারীদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটারের প্রথম সেঞ্চুরি।
ফারজানা হক: বিসিএলের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিয়ান। উত্তরাঞ্চলের হয়ে ১৩ পৌষ ১৪৩১ (২৮ ডিসেম্বর ২০২৪) রাজশাহীতে দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ১০২ রানের ইনিংস খেলেন। ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর নেপালের পোখরায় এসএ গেমসে মালদ্বীপের বিপক্ষেও সেঞ্চুরি করেছিলেন।
দিলারা আক্তার দোলা: বিসিএলের তৃতীয় সেঞ্চুরিয়ান। বিসিএলের দ্বিতীয় রাউন্ডের একটি ম্যাচে ১৩১ বলে ১১টি চার ও ২টি ছক্কায় ১০২ রান করেন।
শারমিন আক্তার সুপ্তা: ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে সেঞ্চুরি করেছিলেন। কিন্তু ওই ম্যাচটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃত ছিল না।
ফারজানা হক পিঙ্কি: ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম নারী সেঞ্চুরিয়ান। ভারতের বিপক্ষে ১০৭ রানের ইনিংস খেলে এই কীর্তি অর্জন করেন।
এমি হান্টার: ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান। ২০২১ সালের ১১ অক্টোবর ১৬ বছর বয়সে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১২১ রানের ইনিংস খেলেন।
ক্রিস গেইল, বাবর আজম, বিরাট কোহলি, মাইকেল ক্লিংগার, ডেভিড ওয়ার্নার: টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করে শীর্ষস্থানে থাকা পাঁচজন ব্যাটসম্যান।
এই তথ্যগুলি থেকে স্পষ্ট যে ‘সেঞ্চুরিয়ান’ শব্দটি একাধিক ক্রিকেটারকে নির্দেশ করে, তাদের ক্রিকেটের ফরম্যাট, লিঙ্গ ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির ভিন্নতা রয়েছে।