বেগম রোকেয়া ও সুলতানার স্বপ্ন: এক নারীবাদী কল্পকাহিনীর অমোঘ ভবিষ্যদ্বাণী
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন বাংলা সাহিত্যের এক অমূল্য সম্পদ। নারী জাগরণের অগ্রদূত, প্রাবন্ধিকা, ঔপন্যাসিক, সমাজ সংস্কারক - বহু পরিচয়ে পরিচিত এই মহিলা তার সাহসী ও দূরদর্শী লেখনীর জন্য স্মরণীয়। 'সুলতানার স্বপ্ন' তার অন্যতম বিখ্যাত রচনা, যা নারীবাদী ইউটোপিয়ান সাহিত্যের একটি ক্লাসিক নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত।
১৯০৫ সালে ইংরেজিতে 'সুলতানা'স ড্রিম' নামে প্রকাশিত এই রচনাটি পুরো ভারতবর্ষে, বিশেষ করে বাংলায় নারীবাদী আন্দোলনের পথিকৃত হিসেবে পরিচিত। পরবর্তীতে ১৯২২ সালে বেগম রোকেয়া নিজেই এটিকে 'সুলতানার স্বপ্ন' নামে বাংলায় অনুবাদ করেন।
কাহিনীর সংক্ষিপ্তসার:
'সুলতানার স্বপ্ন' উপন্যাসে, সুলতানা নামের এক মহিলা এক অদ্ভুত স্বপ্ন দেখেন, যেখানে তিনি 'নারীস্থান' নামের একটি দেশে ভ্রমণ করেন। এই দেশে নারীরা সমাজের সকল ক্ষেত্রে প্রভাবশালী, এবং পুরুষেরা গৃহবন্দী। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অভাবনীয় উন্নয়নের মাধ্যমে নারীরা এই আদর্শ সমাজ গড়ে তুলেছে।
বেগম রোকেয়ার দূরদর্শিতা:
বেগম রোকেয়া 'সুলতানার স্বপ্ন'-এ সমসাময়িক বিজ্ঞানের জ্ঞান ব্যবহার করে একটি আদর্শ সমাজের কল্পনা করেছিলেন। তার এই কল্পনায় অনেক ভবিষ্যদ্বাণীই আজ বাস্তবে পরিণত হয়েছে, যেমন: সৌরশক্তির ব্যবহার, বিমান ভ্রমণ, বৃষ্টি ও আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি, ইত্যাদি।
'সুলতানার স্বপ্ন' কেবল নারীবাদী সাহিত্য নয়, এটি এক উচ্চমানের বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীও।
বেগম রোকেয়ার 'সুলতানার স্বপ্ন' নারী অধিকারের জন্য একটি ক্ষুরধার যুক্তি তুলে ধরেছে। এটি শুধু একটি কাল্পনিক গল্প নয়, বরং বাস্তবতার সঙ্গে মিশে থাকা দূরদর্শী একটি ভবিষ্যৎ দর্শন।
যদি আরও তথ্য জানতে চান:
আমরা আশা করি এই তথ্য আপনার কাছে উপকারী হবে। আরও তথ্য পাওয়া গেলে আমরা আপনাদের অবহিত করব।