সুখবাসপুর

আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৫:৪২ এএম

সুখবাসপুর দীঘি: ঐতিহাসিক এক স্থাপনা

মুন্সীগঞ্জের রামপাল ইউনিয়নে অবস্থিত সুখবাসপুর দীঘি ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা। জনশ্রুতি অনুযায়ী, রামপাল যখন পাল ও সেন রাজাদের রাজধানী ছিল, তখন এলাকাটি অভিজাত সুখবাসপুর নামে পরিচিত ছিল এবং এলাকার জনগোষ্ঠীর পানীয় জলের চাহিদা পূরণের উদ্দেশ্যে এই দীঘিটি খনন করা হয়।

এই দীঘিটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এর পানির স্তর সারা বছর ধরে প্রায় একই রকম থাকে। গ্রীষ্মের তীব্র তাপে অন্যান্য খাল-বিল শুকিয়ে গেলেও, অথবা বর্ষার অতিবৃষ্টিতে চারদিক পানিতে ডুবে থাকলেও এই দীঘির পানির মাত্রা খুব একটা পরিবর্তন হয় না।

শীতকালে হাজার হাজার অতিথি পাখি এই দীঘিতে আশ্রয় নেয়, ফলে এলাকাটি মনোমুগ্ধকর পরিবেশের সৃষ্টি করে। দীঘির উত্তর পাশে বিশাল কদমবেলী বাগান রয়েছে যা দৃশ্যের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে তোলে।

বর্তমানে, সুখবাসপুর দীঘি পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। ইতিহাস ও প্রকৃতির অপূর্ব সমন্বয়ের কারণে দর্শনার্থীরা এখানে ভিড় জমায়। তবে, একসময় যে পরিমাণ অতিথি পাখি এখানে আসতো সেই সংখ্যা বর্তমানে কমে গেছে।

আশা করা যায়, ভবিষ্যতে সুখবাসপুর দীঘি এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও সৌন্দর্য বজায় রেখে আরও বেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করবে।

মূল তথ্যাবলী:

  • মুন্সীগঞ্জের রামপালে অবস্থিত সুখবাসপুর দীঘি
  • পাল ও সেন রাজাদের রাজধানী রামপালের পাশে অবস্থিত
  • পানীয় জলের উৎস হিসেবে খনন
  • সারা বছর ধরে প্রায় একই থাকে পানির স্তর
  • শীতকালে অতিথি পাখির আগমন
  • ঐতিহাসিক ও পর্যটন স্থান

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।