সীমা হামিদ: একজন সমাজসেবী ও উদ্যোক্তা
সীমা হামিদ বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট সমাজসেবী ও উদ্যোক্তা। তিনি ইয়ুথ বাংলা গ্লোবাল ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। সীমা হামিদ সমাজসেবা, নারীর ক্ষমতায়ন, উদ্যোক্তা ও নেতৃত্বের উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং পরিবেশ সুরক্ষায় বিশেষ অবদান রেখেছেন। তার স্বামী সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে। একই সাথে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সীমা হামিদ ও তাঁর ছেলে জারিফ হামিদের বিরুদ্ধেও পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
২০২৪ সালের ২৬শে ডিসেম্বর দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন। দুদকের মামলায় সীমা হামিদের বিরুদ্ধে ৬ কোটি ৯৪ লাখ ৩৩ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তার ২০টি ব্যাংক হিসাবে ১২ কোটি ৭৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৯ টাকা জমা ও ১১ কোটি ১৮ লাখ ৪৯ হাজার ৮১৮ টাকা উত্তোলনের উল্লেখ রয়েছে। এজাহারে এই লেনদেনকে অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক উল্লেখ করে মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়াও, এজাহারে নসরুল হামিদের প্রভাব ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে তার স্ত্রী জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের মালিকানা অর্জন করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে সীমা হামিদ তার সমাজসেবায় অবদানের জন্যও বহুবার পুরস্কার পেয়েছেন। ২০২২ সালে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠিত ‘গ্লোবাল ইয়ুথ লিডারশিপ সামিট-২০২২’ এ গ্লোবাল ইয়ুথ লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড এবং একই বছর ভারতের অরিজিৎ অফিসিয়াল থেকে সমাজ সেবা ও নারীর উন্নয়নের জন্য ‘দুর্গা সম্মান ২০২২ অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন। এছাড়াও, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব লিডারশিপ এন্ড ম্যানেজমেন্ট তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রী প্রদান করেছে।