সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ পিএম

সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল: স্বাস্থ্যসেবার এক আধুনিক দুর্গ

বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অন্যতম প্রধান চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (SOMCH) এর অবদান অপরিসীম। ১৯৩৬ সালে সিলেটের পুরাতন মেডিকেল এলাকায় স্বল্প পরিসরে যাত্রা শুরু করে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ ও সংযুক্ত বার্মা সেনাদের চিকিৎসার জন্য এটি একটি কেয়ার সেন্টারে রূপান্তরিত হয়। ১৯৪৮ সালে সিলেট মেডিকেল স্কুল হিসেবে উন্নীত হয়ে LMF ডাক্তার সার্টিফিকেট প্রদান শুরু করে। ১৯৬২ সালে ৩০০ শয্যার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হিসেবে যাত্রা শুরু করে। ১৯৭৮ সালে বর্তমান অবস্থান কাজল হাওর এলাকায় স্থানান্তরিত হয় এবং ৫০০ শয্যার হাসপাতালে রূপান্তরিত হয়। ১৯৯৮ সালে শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৯০০ তে পৌঁছে।

মহান মুক্তিযুদ্ধে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবায় হাসপাতালটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই হাসপাতালে ডাঃ শামসুদ্দীন আহমদ, ডাঃ শ্যামল কান্তি লালা, ডাঃ কর্ণেল জিয়াউর রহমান, সহ আরো অনেক মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর মোহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানীর নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়।

আজকের SOMCH উন্নত প্রযুক্তি, গুণগত মানসম্পন্ন চিকিৎসা এবং উন্নতমানের সিসিইউ ইউনিটের জন্য পরিচিত। রোগ নির্ণয়ের জন্য আধুনিক ল্যাব সুবিধাও রয়েছে। অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দল দিয়ে নিয়মিত স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে। জরুরি বিভাগ 24/7 সেবা প্রদান করে এবং এম্বুলেন্স সেবাও রয়েছে। প্রায় দেড় কোটি মানুষের জন্য স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে আসছে এই ঐতিহ্যবাহী হাসপাতালটি। নতুন নতুন বিভাগ ও উন্নত প্রযুক্তি যুক্ত হচ্ছে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৯৩৬ সালে প্রতিষ্ঠিত
  • মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন
  • ৯০০ শয্যার হাসপাতাল
  • উন্নত প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞ চিকিৎসক
  • দেড় কোটি মানুষের সেবা

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল

২০ ডিসেম্বর

দুর্ঘটনায় আহতদের এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

২২ ডিসেম্বর ২০২৪

এই হাসপাতালে সংঘর্ষে আহত এক ব্যক্তি মারা গেছেন।