সিদনায়া

আপডেট: ৪ জানুয়ারী ২০২৫, ৩:৩১ এএম

সিদনায়া কারাগার: বাশার আল-আসাদ সরকারের অত্যাচারের এক ভয়াবহ প্রতীক। ২৭ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া অভিযানে মুজাহিদিনরা ৮ ডিসেম্বর দামেস্ক দখল করার পর, আসাদ পরিবার রাশিয়ায় পালিয়ে যায়। তাদের অসংখ্য অপরাধের প্রমাণ হিসেবে সিদনায়া কারাগারের মতো বন্দীশালা থেকে হাজার হাজার বন্দী মুক্তি পায়। প্রায় ৬ দশক ধরে এই কারাগারে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। আলেপ্পো, হামা, হোমস, দারা এবং দামেস্কের অনেক কারাগার থেকে বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হলেও, সিদনায়ার গোপন কারাগারগুলির অস্তিত্ব বিজয়ের দ্বিতীয় দিনেও মুজাহিদিনদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে রইলো। প্রাথমিকভাবে মাটির উপরের তিনটি ব্লকের বন্দীদের উদ্ধার করা হলেও, ভূগর্ভস্থ তিনটি তালায় অবস্থিত বেশ কয়েকটি গোপন ওয়ার্ড ও সেল থেকে বন্দীদের উদ্ধারের কাজ চলছে। আসাদ প্রশাসনের কারারক্ষীরা পালানোর সময় গোপন কোড, ডিজিটাল সিস্টেম ও দরজার চিহ্ন মুছে দেওয়ার ফলে উদ্ধারকাজ কঠিন হয়ে পড়েছে। মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দীদের অবস্থা আসাদের নির্মমতার প্রমাণ হিসেবে বিশ্বের সামনে উন্মোচিত হচ্ছে। কারাগারের ভিতরে ধারণকৃত চিত্রগুলিতে বন্দীদের দীর্ঘদিন ধরে অত্যন্ত খারাপ অবস্থায় রাখার চিত্র দেখা যাচ্ছে। একজন মুক্তিপ্রাপ্ত নারী মুসলিম মহিলাদের উপর ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের ভয়াবহ বর্ণনা দিয়েছেন। ১৯৭০ এর দশকে হাফেজ আসাদ সিদনায়া কারাগারটি নির্মাণ করেছিলেন। এটি ভিন্নমতাবলম্বীদের, বিশেষ করে ইসলামী নব জাগরণের সাথে জড়িতদের বন্দী ও নির্যাতনের কেন্দ্রবিন্দু ছিল। ৮ ডিসেম্বর আসাদ সরকার পালানোর আগেও কারাগারে কয়েক ডজন বন্দীর মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। অধিক তথ্য পাওয়া মাত্র আমরা এই প্রতিবেদনটি আপডেট করব।

মূল তথ্যাবলী:

  • সিদনায়া কারাগার: বাশার আল-আসাদ শাসনামলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতীক।
  • ৮ ডিসেম্বর মুজাহিদিনদের দ্বারা হাজার হাজার বন্দীর উদ্ধার।
  • ৬ দশক ধরে মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনা।
  • ভূগর্ভস্থ কারাগারের অস্তিত্ব ও উদ্ধারের চ্যালেঞ্জ।
  • মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দীদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার বর্ণনা।
  • ১৯৭০ এর দশকে হাফেজ আসাদ দ্বারা কারাগার নির্মাণ।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।