সামান্তা শারমিন ও আরিফ সোহেল: জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী রাজনৈতিক পটভূমি
জুলাই-আগস্ট ২০২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে নতুন কিছু সংগঠন ও ব্যক্তিত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে শুরু করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন সামান্তা শারমিন এবং আরিফ সোহেল। সামান্তা শারমিন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র হিসেবে এবং আরিফ সোহেল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব হিসেবে পরিচিত। উভয়ই গণ-অভ্যুত্থানের সক্রিয় অংশগ্রহণকারী ছিলেন এবং বর্তমানে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যৌথভাবে একটি নতুন মধ্যপন্থি রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। সামান্তা শারমিন এবং আরিফ সোহেল দল গঠনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। দলটির মূলনীতি হবে মানবিক মর্যাদা, গণতন্ত্র এবং ন্যায়বিচার। তাদের লক্ষ্য আপাতত সংসদ নির্বাচন নয় বরং গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে পরিবর্তন আনা।
দুজনের বয়স, জাতিগত পরিচয়, সম্প্রদায়ের তথ্য বর্তমানে পাওয়া যায়নি। আমরা যখনই এই তথ্য সংগ্রহ করতে পারবো, তখনই আপনাদেরকে অবগত করা হবে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির কার্যক্রম: ৮ সেপ্টেম্বর গঠিত জাতীয় নাগরিক কমিটি ৫৬ সদস্য নিয়ে যাত্রা শুরু করে, পরবর্তীতে সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ১৪৭-তে দাঁড়িয়েছে। কমিটিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাবেক ছাত্রনেতা, আইনজীবী, অ্যাক্টিভিস্ট, ইনফ্লুয়েন্সাররা রয়েছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কার্যক্রম: জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দেশের বিভিন্ন জেলা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কমিটি গঠন করেছে। তাদের লক্ষ্য লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা ও ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়মিত করা।
উল্লেখ্য, সামান্তা শারমিন ও আরিফ সোহেলের নেতৃত্বে গঠিত হতে চলা নতুন রাজনৈতিক দলের নাম এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এই দলের আদর্শ, কর্মসূচী ও ভবিষ্যৎ কার্যক্রম সম্পর্কে আরও তথ্য পাওয়া গেলে আমরা আপনাদেরকে অবগত করবো।