রাজবাড়ীতে সেনাবাহিনীর ম্যানুভার অনুশীলন ও সামরিক প্রশিক্ষণের গুরুত্ব
৮ জানুয়ারী, ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজবাড়ী সামরিক প্রশিক্ষণ এলাকায় ‘সেনাবাহিনীর ম্যানুভার অনুশীলন-২০২৪/২৫’ অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুশীলনে ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের একটি পদাতিক ব্রিগেড গ্রুপ অংশগ্রহণ করে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই অনুশীলন পরিদর্শন করেন এবং বক্তব্য রাখেন। তিনি সেনাসদস্যদের আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আভিযানিক দক্ষতা অর্জনের উপর জোর দেন এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সর্বদা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান। তিনি সেনা সদস্যদের বাস্তবসম্মত প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা এবং দক্ষতার প্রশংসা করেন।
অনুশীলনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন অস্ত্র ও পরিষেবা, অত্যাধুনিক ট্যাংক, এপিসি, গোলন্দাজ বাহিনীর কামান, পদাতিক, ইঞ্জিনিয়ার্স এবং কমান্ডোরা অংশ নেয়। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান ও আর্মি অ্যাভিয়েশনের বিমান ও হেলিকপ্টারও এই অনুশীলনে অংশ নেয়।
এই অনুশীলনের আগে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান রাজবাড়ী সামরিক প্রশিক্ষণ এলাকায় সেনাসদস্যদের অবস্থানের জন্য প্রশাসনিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং শীতার্ত মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। তাকে অভ্যর্থনা জানান সেনাবাহিনী প্রধান, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান, এবং যশোর এরিয়া মেজর জেনারেল জে এম ইমদাদুল ইসলাম প্রমুখ।
এই প্রতিবেদনগুলি থেকে বোঝা যায় যে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়মিতভাবে ম্যানুভার অনুশীলন এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের যুদ্ধক্ষমতা বৃদ্ধি এবং দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে। তবে, সামরিক প্রশিক্ষণের বিভিন্ন দিক, প্রশিক্ষণের ধরণ, অর্থনৈতিক ব্যয়, এবং সামাজিক প্রভাব সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলে এই প্রবন্ধটি আরও সমৃদ্ধ করা সম্ভব হবে।