সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলা: দীর্ঘ ১১ বছর পরও অধরা ন্যায়
২০১২ সালের ১১ই ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজ বাসায় সাংবাদিক সাগর সরওয়ার ও তার স্ত্রী মেহেরুন রুনি নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এই ঘটনা দেশে তীব্র নিন্দা ও আলোচনার সৃষ্টি করে। সাগর সরওয়ার মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক এবং রুনি এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ছিলেন।
এই হত্যাকাণ্ডের পর রুনির ভাই নওশের আলম শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। প্রথমে শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ তদন্তের দায়িত্ব পায়, পরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এবং অবশেষে র্যাব এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায়।
তদন্ত প্রক্রিয়া বিভিন্ন পর্যায়ে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয় এবং ১১৪ বারের বেশি সময় প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হয়। এই দীর্ঘসূত্রিতার কারণে জনমনে তীব্র হতাশা ও অবিচারের অনুভূতি সৃষ্টি হয়। হাইকোর্ট বিভিন্ন সময়ে মামলার তদন্তের নির্দেশনা দিয়েছে এবং তদন্তকারী সংস্থার পরিবর্তন করেছে। সর্বশেষ ৩০শে সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট র্যাবের কাছ থেকে তদন্তের দায়িত্ব সরিয়ে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দিয়েছে।
এই মামলায় আটজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তবে এখনও পর্যন্ত মামলার কোন সন্তোষজনক তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়নি। সাগর-রুনি হত্যা মামলা একটি উদাহরণ যে কিভাবে দীর্ঘসূত্রিতা ও ব্যর্থ তদন্ত ন্যায়বিচার থেকে জনগোষ্ঠীকে বঞ্চিত করতে পারে।