সাইফুল করিম নামে একজন ব্যক্তির বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে উল্লেখিত তথ্যের ভিত্তিতে একটি নিবন্ধ তৈরি করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, সাইফুল করিম নামটি একাধিক ব্যক্তির সাথে সম্পর্কিত হতে পারে, তাই এই নিবন্ধে বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে উল্লেখিত সাইফুল করিমদের তথ্য সমন্বিত করা হয়েছে।
প্রথম সাইফুল করিম: বাংলাদেশের পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, একজন ইয়াবা সাম্রাজ্যের গডফাদার সাইফুল করিম কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। তিনি প্রায় নয় মাস বিদেশে পালিয়ে ছিলেন এবং সম্প্রতি দেশে ফিরে আসার পর পুলিশের কাছে গ্রেফতার হন। টেকনাফ স্থলবন্দরের সীমানা প্রাচীরের শেষ প্রান্তে নাফ নদীর তীরে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, তিনি ১৯৯৭ সালে নাফ নদী দিয়ে বাংলাদেশে প্রথম ইয়াবার চালান আনেন এবং তার ইয়াবা নেটওয়ার্ক দেশব্যাপী ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পায়। তার মামা আব্দুর রহিম মিয়ানমারে ৩৭টি ইয়াবা কারখানার প্রধান ডিলার ছিলেন এবং সাইফুল করিমকে সহায়তা করতেন। সাইফুল করিমের নাম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তৈরি ৭৩ জন শীর্ষ ইয়াবা চোরাকারবারি ও ব্যবসায়ীর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল। তার মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠেছে।
দ্বিতীয় সাইফুল করিম: কক্সবাজারের একজন আমদানি-রপ্তানিকারক সাইফুল করিম (৪৫) সিআইপি (বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) মর্যাদা অর্জন করেছেন। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম এসকে ইন্টারন্যাশনাল। তবে তিনি ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ২০১৮ সালে চট্টগ্রামের হালিশহরে ১৩ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় প্রথমবার ইয়াবা ব্যবসার সাথে তার সম্পৃক্ততা সামনে আসে। তিনি স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন এবং সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির সাথে ঘনিষ্ঠতা ছিল বলেও জানা যায়। সাইফুল করিম আত্মসমর্পণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলেও তথ্য মিলেছে।
তৃতীয় সাইফুল করিম: চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল করিম আরিয়ানের নামে এক ব্যক্তির উল্লেখ রয়েছে। ছাত্রশিবিরের হামলায় আহত হয়েছেন বলে জানা যায়।
চতুর্থ সাইফুল করিম: চেক ডিজঅনার মামলায় ছয় মাসের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সাইফুল করিম খান (৪৫) নামের এক ব্যক্তি আদালত থেকে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য যে, এই সব তথ্য বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে এবং এ সম্পর্কে আরও তথ্য প্রাপ্তির সাথে সাথে এই নিবন্ধ আপডেট করা হবে।