সজীব ওয়াজেদ জয়: একজন আইসিটি উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব
সজীব ওয়াজেদ জয় (জন্ম: ২৭ জুলাই ১৯৭১) বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট আইসিটি পরামর্শক এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পরমাণু বিজ্ঞানী প্রয়াত এম এ ওয়াজেদ মিয়া দম্পতির প্রথম সন্তান এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র।
১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর, তিনি মায়ের সাথে জার্মানি ও লন্ডন হয়ে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন। তার শৈশব ও কৈশোর কাল কেটেছে ভারতে। তিনি নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজে লেখাপড়া করার পর, যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস এ্যট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক-প্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় বসবাস করেন।
২০১০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি, তিনি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ লাভ করেন। ২০১৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত এবং এরপর আবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবৈতনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে ২০১৪ সালেও তিনি একই পদে নিয়োগ পান। ২০০২ সালে মার্কিন নাগরিক ক্রিস্টিন ওয়াজেদকে বিয়ে করেন এবং তাদের এক কন্যা সন্তান রয়েছে।
তার বেতন নিয়ে বিভিন্ন সময় সমালোচনা ও অভিযোগ উঠেছে। বিএনপি-সহ বিরোধী দলগুলো দাবি করে যে, তিনি উপদেষ্টা হিসেবে অর্থ গ্রহণ করেন, যা তিনি অস্বীকার করেন। তার নেতৃত্বে পরিচালিত ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রকল্পের স্বচ্ছতা ও দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে। তার বিরুদ্ধে লবিস্ট নিয়োগে সংশ্লিষ্টতা, যুক্তরাষ্ট্রে অর্থ পাচার, এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নে সরকারি বিরোধীদের দমনে ভূমিকা নিয়েও অভিযোগ উঠেছে। তবে জয় এসব অভিযোগ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে উত্থাপিত বলে অস্বীকার করেছেন এবং এদের পেছনে কোনো প্রমাণ নেই বলে দাবি করেছেন। সমালোচনার মুখে তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রকল্পে দেশের তথ্য নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখার উদ্দেশ্য উল্লেখ করেছেন।
আমরা সজীব ওয়াজেদ জয় এবং তার কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করছি এবং সময় সময় এই লেখা আপডেট করা হবে।
সজীব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কে আরও তথ্য পেলে লেখাটি আপডেট করা হবে।