শ্রম ভবন: বাংলাদেশের শ্রমিক জনগোষ্ঠীর প্রাণকেন্দ্র
বাংলাদেশের শ্রম অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় অবস্থিত শ্রম ভবন দেশের শ্রমিকদের কল্যাণ ও অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। ব্রিটিশ ভারতের বিধি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত এই দপ্তর প্রাথমিকভাবে ভারতীয় অভিবাসী শ্রমিকদের কল্যাণের দিকে নজর দিলেও, পরবর্তীতে দেশীয় শ্রমিকদের কল্যাণও এর অন্তর্ভুক্ত হয়।
ইতিহাস:
১৯৩১ সালে 'ভারতীয় অভিবাসী শ্রম দপ্তর' থেকে এর নামকরণ করা হয় 'জেনারেল শ্রম দপ্তর'। ১৯৫৮ সালে সরকারি আদেশের মাধ্যমে এর প্রধানের পদবী 'শ্রম কমিশনার' থেকে পরিবর্তিত হয়ে 'শ্রম পরিচালক' হয়। শুরু থেকেই যৌথ দরকষাকষি, মধ্যস্থতা এবং শিল্পক্ষেত্রে শ্রমিক-মালিক বিরোধ নিষ্পত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
অবস্থান ও যোগাযোগ:
শ্রম ভবন অবস্থিত ঢাকার বিজয়নগরে, ১৯৬, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণীতে। যোগাযোগের জন্য ফোন নম্বর, ফ্যাক্স নম্বর এবং ই-মেইল ঠিকানা উপলব্ধ।
কার্যাবলী:
শ্রম ভবনের মাধ্যমে ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন, শিল্প বিরোধ নিষ্পত্তি, শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ, শ্রম আইন সংক্রান্ত তথ্য প্রদান, শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও কল্যাণের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচী পরিচালনা করা হয়ে থাকে।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গ:
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা শ্রম ভবনে কার্যক্রম পরিচালনা করেন। প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট ও যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যবহার করা যায়।
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
শ্রম ভবনের কার্যক্রমের সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য বিভিন্ন প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, যেমন অনলাইন ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন ব্যবস্থা।
পরিশিষ্ট:
শ্রম ভবন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য পেতে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট এবং অন্যান্য প্রকাশনা পর্যালোচনা করুন।