শ্বাসকষ্ট বা ডিসপনিয়া (Dyspnoea) হল এমন একটি অবস্থা যেখানে একজন ব্যক্তি স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে অসুবিধা অনুভব করে। এটি একটি সাধারণ লক্ষণ যা বিভিন্ন রোগের ইঙ্গিত দিতে পারে। শ্বাসকষ্টের তীব্রতা, অস্বস্তি এবং দৈনন্দিন কাজকর্মে এর প্রভাব বিবেচনা করে এর মাত্রা নির্ণয় করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট হাঁপানি, নিউমোনিয়া, হৃদরোগ, ফুসফুসের রোগ, অথবা মানসিক সমস্যা যেমন উৎকণ্ঠার কারণে হতে পারে। ৮৫% ক্ষেত্রেই এর পেছনে উল্লেখিত রোগগুলোর কোনো একটি থাকে। শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা মূল কারণের উপর নির্ভর করে। কখনও কখনও অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রমের পরেও শ্বাসকষ্ট হতে পারে, কিন্তু বিশ্রামের সময় অথবা সামান্য পরিশ্রমের পরে শ্বাসকষ্ট হলে তা চিকিৎসাগত ধ্যানের দাবি রাখে। কোভিড-১৯ এর মতো সংক্রামক রোগও শ্বাসকষ্টের একটি কারণ হতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্টের ক্ষেত্রে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা পরীক্ষা, ইসিজি, এক্স-রে, অথবা CT স্ক্যান এর মাধ্যমে নির্ণয় করা হয়। চিকিৎসায় ঔষধ, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম, ও জীবনযাত্রার শৈলী পরিবর্তন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে, তাদের একজন চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা অত্যন্ত জরুরি।
শ্বাসকষ্ট
আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম
মূল তথ্যাবলী:
- শ্বাসকষ্ট হল স্বাভাবিক শ্বাস নিতে অসুবিধা
- এটি বিভিন্ন রোগের ইঙ্গিত দিতে পারে
- ৮৫% ক্ষেত্রে হাঁপানি, নিউমোনিয়া, হৃদরোগ ইত্যাদি কারণ
- চিকিৎসা মূল কারণের উপর নির্ভর করে
- তীব্র শ্বাসকষ্ট চিকিৎসাগত ধ্যান প্রয়োজন
একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।