শেখ হাসান

আপডেট: ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ৯:৪৪ এএম

শেখ হাসান আরিফ: একজন বিচারকের জীবন ও কর্মকাণ্ড

শেখ হাসান আরিফ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতি। ১৯৬৮ সালের ২০শে এপ্রিল তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম ফয়জুর রহমান এবং মাতার নাম হোসনে আরা বেগম (মৃত্যু ৮ই জুলাই ২০২৩, চট্টগ্রামের এভারকেয়ার হাসপাতালে)। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক এবং এমএসএস ডিগ্রি অর্জন করেন এবং উলভারহ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয়বার আইন ডিগ্রি লাভ করেন।

আইনজীবী হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয় ১৯৯৫ সালের ১২ই অক্টোবর জেলা আদালতে। পরবর্তীতে ১৮শে জানুয়ারি ১৯৯৮ সালে তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হন। ২০১০ সালের ১৮শে এপ্রিল তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে যোগদান করেন এবং ২০১২ সালের ১৫ই এপ্রিল স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন।

বিচারপতি আরিফের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রায় এবং মতামত রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ২০০১ সালের জানুয়ারীতে, তিনি এবং বিচারপতি মোঃ ইমান আলী একটি রায়ে বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শারীরিক শাস্তি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। তিনি সাইবার নিরাপত্তা আইনের কিছু ধারা সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং সাংবাদিকদের উপর এর প্রভাব নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি সর্বোচ্চ আদালতের সংস্কারের বিষয়েও লিখেছেন এবং ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বিচার বিভাগের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু পদক্ষেপের প্রস্তাব দিয়েছেন।

তার ফেসবুক পোস্টে উল্লেখিত কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে: বিচারপতি নিয়োগে দলনিরপেক্ষ আইন প্রণয়ন, প্রধান বিচারপতির একচ্ছত্র ক্ষমতায় চেক অ্যান্ড ব্যালান্সের ব্যবস্থা, বিচারকদের দুর্নীতি ও পক্ষপাতমূলক আচরণ বন্ধে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক পদ্ধতি প্রণয়ন ইত্যাদি।

বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের জীবন ও কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। তার মতামত এবং রায়গুলি আইন ও নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • শেখ হাসান আরিফ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি।
  • তিনি ১৯৬৮ সালের ২০ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন।
  • চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও উলভারহ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন।
  • শারীরিক শাস্তি নিষিদ্ধকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
  • সাইবার নিরাপত্তা আইন ও সুপ্রিম কোর্ট সংস্কারের বিষয়ে মতামত প্রকাশ করেছেন।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - শেখ হাসান

১১ জানুয়ারী ২০২৫

শেখ হাসান কালের কণ্ঠের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ছবি তুলেছেন।