শেখ মঈনুল ইসলাম

আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২:১৪ এএম

কুষ্টিয়ার খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মঈনুল ইসলাম সম্প্রতি একটি বিতর্কিত ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছেন। গত বুধবার (২৫ ডিসেম্বর ২০২৪) কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার জানিপুর সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির একটি কর্মীসভায় তিনি উপস্থিত থেকে বিতর্কিত বক্তব্য দেন, যার একটি ভিডিও ক্লিপ শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর ২০২৪) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

ওসি শেখ মঈনুল ইসলামের ভিডিওতে শোনা যায়, তিনি বিএনপির নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলছেন, '১৫-১৬ বছর কীভাবে, কোথায় ছিলেন আপনারা আমার চেয়ে ভালো জানেন। কোথায়, কীভাবে কষ্ট করেছেন। আপনারা ঠিকমতো বাড়িতে থাকতে পারেন নাই। আমি পুলিশ, হয়তো আরেকজন ছিল। আমাকে বাধ্য করেছে। হয়তো আমাকে দেখে আপনারা বলছেন এ বড় বড় কথা বলে। আসলে না। আমিও ওই রকম নির্যাতিত ছিলাম। ৫ তারিখের গণঅভ্যুত্থান না হলে আমি এখানে ওসি হতে পারতাম না। এটা আমি সবসময় বলি এবং স্বীকার করি।'

তিনি আরও বলেন, 'অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষার পর আপনারা এ পর্যন্ত আসতে পেরেছেন। ১৫-১৬ বছর পর আপনারা এক জায়গায় হতে পারছেন, সবার সাথে কথা বলতে পারছেন। আপনাদের কাছে বিনীত অনুরোধ করব, যে সুযোগটা আসছে, সেই সুযোগটা সদ্ব্যবহার করেন। এমন কোনো কাজ করবেন না যাতে আপনাদের মধ্যে থেকে তৃতীয় পক্ষ কোনো সুযোগ নিতে পারে।' ওসি তার বক্তব্যের একপর্যায়ে আরও বলেন, 'এ প্রোগ্রামটা আপনাদেরই। আমি কেন পুলিশ আসবো? তারপরও আমি আসলাম। আমার থানার সামনে, আসতে হবে। মনও চায় আসতে। মনেরও টান দেয় যে এখানে একটু কথা বলি। আসলে সব সময় তো সব কথা বলা যায় না। আমি আপনাদের কাছে বিনীত অনুরোধ করছি, কেউ কোনো ঝামেলা করবেন না। আমরা আপনাদের সেবায় এখানে আছি। যতটুকু পারি আমাদের পক্ষ থেকে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করবো। সব হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে যান। আপনাদের মধ্যে যদি হিংসা থাকে তাহলে তৃতীয় পক্ষ সুযোগ নেবে। এই সুযোগ আর দেওয়া যাবে না।'

এই বক্তব্যের পর ওসি শেখ মঈনুল ইসলাম তার বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন, বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ঠেকাতে তিনি এমন বক্তব্য দিয়েছিলেন।

কর্মীসভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, খোকসা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ আমজাদ আলী, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন আহমেদ, সদস্য সচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার, জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক শেখ সাদী, নুরুল ইসলাম আনসার প্রামাণিক, সদস্য আলাউদ্দিন খান এবং খোকসা পৌর বিএনপির সভাপতি মুন্সি এ জেড জি রশিদ।

কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওসির বক্তব্যের বিষয়টি তাদের নজরে এসেছে এবং তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে ওসির বক্তব্য নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, একজন পুলিশ কর্মকর্তার জন্য এ ধরণের রাজনৈতিক মঞ্চে বক্তব্য দেওয়া অপেশাদারতার পরিচায়ক।

মূল তথ্যাবলী:

  • কুষ্টিয়ার খোকসা থানার ওসি শেখ মঈনুল ইসলাম বিএনপির কর্মীসভায় বিতর্কিত বক্তব্য দিয়েছেন।
  • তার বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
  • ওসি তার বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
  • পুলিশ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
  • ওসির বক্তব্যকে অনেকে অপেশাদার বলে মন্তব্য করেছেন।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - শেখ মঈনুল ইসলাম

২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

শেখ মঈনুল ইসলাম কুষ্টিয়ার খোকসা থানার ওসি হিসেবে বিএনপির একটি কর্মীসভায় বক্তব্য রেখেছিলেন।

শেখ মঈনুল ইসলাম খোকসা থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বিএনপির কর্মীসভায় বক্তৃতা করেছেন।