শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম: বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ বন্দরনগরী চট্টগ্রামে অবস্থিত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। পূর্বে এম এ হান্নান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নামে পরিচিত ছিল, ২০০৫ সালের ২ এপ্রিল ১৮ শতাব্দীর দরবেশ শাহ আমানতের নামে নামকরণ করা হয়। বিমানবন্দরটি বার্ষিক ১.৫ মিলিয়ন যাত্রী এবং ৬০০০ টন কার্গো পরিচালনার সক্ষমতা রাখে।
চট্টগ্রাম শহরের পতেঙ্গা এলাকায়, কর্ণফুলী নদীর তীরে অবস্থিত বিমানবন্দরটি জিইসি মোড় থেকে ২০ কিলোমিটার এবং রেলওয়ে স্টেশন থেকে ১৮.৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বিমানবন্দরের আশেপাশে কয়েকটি হোটেল ও রেস্টুরেন্ট রয়েছে।
১৯৪০-এর দশকে ব্রিটিশ শাসনামলে এয়ারফিল্ড হিসেবে নির্মিত, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে ‘চট্টগ্রাম এয়ারফিল্ড’ নামে পরিচিত ছিল। যুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪র্থ কমব্যাট কার্গো গ্রুপ বার্মা অভিযানে সরবরাহের জন্য এটি ব্যবহার করেছিল। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর এটি বাংলাদেশী বিমানবন্দর হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়। ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হয়।
১৯৯৮ সালে ব্যাপক সংস্কার ও সম্প্রসারণ কাজ শুরু হয়, যা ২০০০ সালে শেষ হয়। জাপানের আর্থিক সহায়তায় এই উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হয়। এই উন্নয়নের ফলে টার্মিনাল, রানওয়ে, ট্যাক্সিওয়ে, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ার উন্নত হয়, এবং বড় বিমান অবতরণের সুযোগ তৈরি হয়। বিমানবন্দরটি ২০১৩ সালে আইকাও-র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্বীকৃতি লাভ করে।
বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সসহ বিভিন্ন দেশী ও আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্স এই বিমানবন্দর ব্যবহার করে। বিমানবন্দরটিতে ২২০,০০০ বর্গফুট যাত্রী টার্মিনাল, ২৯,০৬৩ বর্গফুট কার্গো টার্মিনাল, একটি রানওয়ে (০৫/২৩) এবং তিনটি পার্কিং জোন রয়েছে। শহরের আগ্রাবাদ ও জিইসি এলাকা থেকে সহজে বিমানবন্দরে পৌঁছানো যায়।