শহীদ হাসান মিশা, বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের একজন অত্যন্ত জনপ্রিয় অভিনেতা, যিনি মিশা সওদাগর নামেই বেশি পরিচিত। ৪ জানুয়ারি ১৯৬৬ সালে পুরান ঢাকার সাতরোজা, আবুল হাসান রোডে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার বাবার নাম ওসমান গনি এবং মায়ের নাম বিলকিস রাশিদা। তিনি একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে চতুর্থ সন্তান হিসেবে জন্মগ্রহণ করেন। তার দাদার নাম ছিল জুম্মন সওদাগর। ১৯৯৩ সালের ৫ ডিসেম্বর জোবায়দা রব্বানী মিতার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং 'মি' ও 'শা' মিলিয়ে নিজের নাম রাখেন 'মিশা' এবং দাদার নাম থেকে 'সওদাগর' উপাধি গ্রহণ করেন। তার দুই ছেলে সন্তান রয়েছে, বড় ছেলে হাসান মোহাম্মদ ওয়ালিদ ও ছোট ছেলে ওয়াইজ করণী।
১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা (এফডিসি)-এর আয়োজিত নতুন মুখ নির্বাচনে নির্বাচিত হন। ১৯৯০ সালে ছটকু আহমেদ পরিচালিত 'চেতনা' ও 'অমরসঙ্গী' চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে অভিনয় করলেও তেমন সাফল্য অর্জন করতে পারেননি। পরবর্তীতে তিনি খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় শুরু করেন এবং তমিজ উদ্দিন রিজভী পরিচালিত 'আশা ভালোবাসা' চলচ্চিত্রের মাধ্যমে খলনায়ক হিসেবে পরিচিতি পান। 'যাচ্ছে ভালোবাসা' (১৯৯৪) ছিল তার খলনায়ক হিসেবে অভিনয় করা প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র।
মিশা সওদাগর এখন পর্যন্ত ৯৫০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এবং 'বস নাম্বার ওয়ান' (২০১১), 'অল্প অল্প প্রেমের গল্প' (২০১৪) এবং 'বীর' (২০২০) ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি তিনবার বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০২০ সাল পর্যন্ত তিনি ৯৫০ টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন এবং টানা তিনবার এই পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি একুশে টেলিভিশনে প্রচারিত জুয়েল মাহমুদের 'ললিতা' নাটকেও অভিনয় করেছেন। তিনি ফাগুন অডিও ভিশনের 'পাঁচফোড়ন' ও 'ইত্যাদি' অনুষ্ঠানেও উপস্থাপনা করেছেন। তার অভিনয় জীবনে এ টি এম শামসুজ্জামান, খলিল, হুমায়ুন ফরীদি এবং রাজীব সাহেবের মতো গুণী অভিনেতাদের সাথে কাজ করার সুযোগ হয়েছে এবং তিনি তাদের কাছে অভিনয় শিল্প সম্পর্কে অনেক কিছু শিখেছেন। তার অভিনয় জীবন সম্পর্কে অনেক সাক্ষাতকার ও প্রকাশিত হয়েছে। তবে মিশা সওদাগরের জীবনী সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা প্রয়োজন। আমরা আপনাকে এই বিষয়ে পরে আরও তথ্য দিব।