শর্ষ শব্দটির সাথে একাধিক ব্যক্তি, সংগঠন বা ঘটনা যুক্ত থাকতে পারে, তাই স্পষ্টতার জন্য বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, শর্ষ শব্দটির সাথে সর্বাধিক প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে শর্ষিনার পীর সাহেব, শাহ সূফী নেছারউদ্দীন আহমদের সাথে।
১৮৭৩ সালে বরিশাল বিভাগের পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠি থানার মাগুরা (ছারছিনা) গ্রামে জন্মগ্রহণকারী শাহ সূফী নেছারউদ্দীন আহমদ ছিলেন একজন প্রসিদ্ধ ইসলামি ব্যক্তিত্ব। তিনি ফুরফুরা শরীফের খলিফা ছিলেন এবং সারা বাংলায় খ্যাতি অর্জন করেন। তার প্রাথমিক শিক্ষা স্থানীয় পাঠশালায় সম্পন্ন হয়, পরবর্তীতে তিনি মাদারীপুর প্রাথমিক ইসলামিয়া মাদ্রাসা, ঢাকা হাম্মাদিয়া মাদ্রাসা, কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসা এবং হুগলী মোহসেনিয়া মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেন। ১৮৯৫ সালে তিনি ফুরফুরা শরীফের পীর হযরত আবু বকর সিদ্দিকীর হাতে বায়াত হন। তিনি ইসলাম প্রচারে আত্মনিয়োগ করেন এবং ১৯০৫ সালে গোলপাতার কুতুবখানা এবং ১৯১৩ সালে কেরাতিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৩৪ সালে তিনি তার সম্পত্তি মাদ্রাসার জন্য ওয়াক্ফ করে দেন। তিনি ১৯৪৬ সালে কলকাতায় অনুষ্ঠিত নিখিল ভারত ওলামা কনফারেন্সের অন্যতম সংগঠক ছিলেন এবং ১৯৪৭ সালের সিলেট রেফারেন্ডামেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৫২ সালের ১ ফেব্রুয়ারী তিনি ইন্তেকাল করেন এবং ছারছিনার মসজিদের উত্তর পাশে দাফন করা হয়।
শাহ সূফী নেছারউদ্দীন আহমদ কুরআন ও সুন্নাহ সম্পর্কে বহু গ্রন্থ রচনা করেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য 'মোছলেম রতœদার', 'ফুরফুরা পীর সাহেবের অছিয়তনামা', 'তালিমে মারেফাত' ইত্যাদি।
উল্লেখ্য যে, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের বিখ্যাত পীর সাহেব শর্ষিণার পীর আবু সালেহ মোহাম্মদ জাফর বাঙালি নারীদের গনিমতের মাল হিসাবে ফতোয়া দেওয়ার ঘটনাও তথ্যে উল্লেখিত। তবে, এই ঘটনা শাহ সূফী নেছারউদ্দীন আহমদের সাথে সরাসরি সংযুক্ত কিনা, সে সম্পর্কে স্পষ্ট তথ্য প্রদত্ত নয়। আমরা যখন এই বিষয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ করতে পারব, তখন আপনাদেরকে অবশ্যই জানাব।