শফিক উল্লাহ নামটি একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। প্রদত্ত তথ্য থেকে বেশ কিছু শফিক উল্লাহ সম্পর্কে জানা যায়। প্রথমত, একজন রাজনীতিবিদ, দ্বিতীয়ত, একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং তৃতীয়ত একজন ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব।
১. শফিক উল্লাহ (রাজনীতিবিদ): লক্ষ্মীপুর জেলার রাজনীতিবিদ মাস্টার শফিক উল্লাহ তৎকালীন নোয়াখালী-১২ (বর্তমান লক্ষ্মীপুর-৩) আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। লক্ষ্মীপুরে জন্মগ্রহণকারী শফিক উল্লাহ বিএ এবং বিএড ডিগ্রী অর্জন করেছিলেন। তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন এবং ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর হয়ে ইসলামীক ডেমোক্রেটিক লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হন। তিনি লক্ষ্মীপুর সামাদ একাডেমির প্রধান শিক্ষক ছিলেন এবং ১৯৮২ সালে দারুল আমান একাডেমি মাদ্রাসা ও দারুল আমান ইয়াতিমখানা প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি নামকরা ইসলামি বক্তা মাওলানা তারেক মনোয়ারের পিতা।
২. শফিক উল্লাহ (মুক্তিযোদ্ধা): মোহাম্মদ শফিক উল্লাহ (২৬ অক্টোবর ১৯৪১ - ৩১ মার্চ ২০০৮) ছিলেন বাংলাদেশের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তার অসাধারণ বীরত্বের জন্য তিনি বীর প্রতীক খেতাব লাভ করেন। তিনি কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। তার শিক্ষাজীবন কুমিল্লায় শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের পর তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং ১৯৯৬ সালে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের উপর বেশ কিছু বইও রচনা করেছেন।
৩. শফিক উল্লাহ (ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব): নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলার একজন প্রবীণ ধর্মীয় ব্যক্তি মাওলানা শফিক উল্লাহ ১ জুন ২০২১ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি সুবর্ণচর চরবাটা ইসমাইলিয়া আলিম মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক ছিলেন এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সদস্য ছিলেন।
৪. শফিক উল্লাহ (মাদক ব্যবসায়ী): কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় ইয়াবা পাচারের অভিযোগে আটক হন একজন শফিক উল্লাহ।
উপরোক্ত তথ্য থেকে স্পষ্ট যে শফিক উল্লাহ নামটি একাধিক ব্যক্তির সাথে সম্পর্কিত। অধিক তথ্য পাওয়া গেলে এই লেখা আরও সমৃদ্ধ করা হবে।